শেষ দিনে এই ম্যাচটি জিততে সফরকারীদের প্রয়োজন ২৮৫ রান। অন্যদিকে সাত উইকেট নিলেই দুই ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে যাবে টাইগাররা।
দিন শেষে অপরাজিত আছেন এনক্রুমা বোনার ও কাইল মায়ার্স। তাদের রান যথাক্রমে ১৫ ও ৩৭।
বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদী ৫২ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম টেস্ট: মুমিনুল-লিটনের নৈপুণ্যে বাংলাদেশের বড় লিড
ক্রিকেটের নির্দিষ্ট বল দিয়েই ক্রিকেট খেলতে হবে: মাশরাফি
এর আগে টাইগাররা তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল ৩ উইকেটে ৪৭ রান সংগহ করে। জয়ের প্রত্যাশায় ক্যারিবিয়ানদের সামনে ভালো লক্ষ্য ছুড়ে দিতে টেস্টের চতুর্থ দিন শনিবার সকালে প্রথম সেশনে ব্যাটিংয়ে নামেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম।
কর্নওয়ালের বলে এলবিডব্লু হয়ে ৪৭ বলে মাত্র ১৮ রান করেই মুশফিক মাঠ ছাড়লেও, নিজের ৪১তম টেস্টে তামিম ইকবালকে টপকে গিয়েছেন টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক।
টেস্ট ক্যারিয়ারে দশমবারের মতো শতক স্পর্শ করেন মুমিনুল হক। ১৮২ বলে ১১৫ রান করে আউট হন তিনি। এছাড়া ১১২ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলেছেন লিটন দাস। এই মাঠে মুমিনুলের এটি সপ্তম সেঞ্চুরি।
মুমিনুলের দশম শতকের আগে লিটন দাস টেস্টে নিজের ষষ্ঠ ফিফটি করেন। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ আট উইকেটে ২২৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে রাহকিম কর্নওয়েল এবং জমেল ওয়ারিকান তিনটি করে এবং শ্যানন গ্যাব্রিয়েল দুটি উইকেট শিকার করেন।
আরও পড়ুন: বিসিবিতে নতুন ভূমিকায় আসতে যাচ্ছেন শাহরিয়ার নাফীস
ডানহাতি অলরাউন্ডার মেহেদীর সেঞ্চুরির সুবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৪৩০ রানে। মেহেদী আট নম্বরে নেমে ১৬৮ বলে ১৩ বাউন্ডারিতে ১০৩ রান করেন।
পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথম ইনিংসে ২৫৯ রানে গুটিয়ে দিয়ে ১৭১ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট শুরু করে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস) ৪৩০/১০ (মেহেদী ১০৩, সাকিব ৬৮, সাদমান ৫৯), জমেল ৪/১৩৩, কর্নওয়েল ২/১১৪।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ (প্রথম ইনিংস) ২৫৯/১০ (ব্রাথওয়েট ৭৬, ব্ল্যাকউড ৬৮, যশুয়া দা সিলভা ৪২ ), মেহেদী ৪/৫৮, মোস্তাফিজ ২/৪৬।
বাংলাদেশ (দ্বিতীয় ইনিংস) ২২৩/৮ (মুমিনুল ১১৫, লিটন ৬৯), ওয়ারিকান ৩/৫৭ কর্নওয়েল ৩/৮১, ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ (দ্বিতীয় ইনিংস) ১১০/৩ (মায়ার্স ৩৭*, বোনার ১৫), মেহেদী ৩/৫২।