তিনি বলেন, গণপরিবহন চালু থাকলেও প্রতি বছরের মতো ঈদের আগের তিনদিন ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা জানান সেতুমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আসন্ন ঈদে গণপরিবহন চলবে। ঈদের তিনদিন আগে ভারী যানবাহন বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি সেবা, ওষুধ, নিত্যপণ্য, পচনশীল খাবার ও পশুবাহী গাড়ি নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে। এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিস্তারিত জানাবে বিআরটিএ।’
যথাযথভাবে স্বাস্হ্যবিধি না মানলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন না করলে ঈদের আনন্দ বিষাদে পরিণত হতে পারে।’
এর আগে বুধবার সচিবালয়ে ঈদুল আজহা উপলক্ষে লঞ্চ, ফেরি, স্টিমার চলাচল ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ কর্মপন্থা নির্ধারণ সংক্রান্ত বৈঠক শেষে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে আসন্ন ঈদুল আজহার পাঁচদিন আগে থেকে এবং ঈদের তিনদিন পর পর্যন্ত মোট ৯ দিন পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে এই সময়ে গণপরিবহন চালু থাকবে।
অবশ্য বৈঠকের শুরুতে তিনি বলেন, ঈদের আগে পাঁচদিন থেকে এবং ঈদের পরে তিনদিন গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে বৈঠক শেষে তিনি তার বক্তব্য থেকে সরে আসেন।
শুধু পণ্যবোঝাই যানবাহন এই ৯ দিন বন্ধ থাকবে, যোগ করেন তিনি।
কোরবানির পশু ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবাহী যানবাহন এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে, বলেন প্রতিমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৈঠকের শুরুতে গণপরিবহন বন্ধ রাখার প্রস্তাব করা হয়। পরে কর্তৃপক্ষ শুধু পণ্যবোঝাই পরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।