হেফাজতে ইসলামের ডাকা রবিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের মধ্য দিয়ে ১৪ মাস পর দেশে আবারও হরতাল ফিরেছে। তবে এ হরতাল খুলনায় শান্তিপূর্ণ ও ঢিলেঢালাভাবে পালিত হয়েছে। হরতাল চলাকালে কোথাও কোনো পিকেটিং বা বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে, হরতাল প্রতিরোধ ও যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে সারা দেশের ন্যায় খুলনাতেও সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ। একই সাথে খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন সড়কে হরতাল বিরোধী মহড়া দিয়েছে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী।
আরও পড়ুন: মোদিবিরোধী বিক্ষোভ: বায়তুল মোকাররম এলাকায় পুলিশের সাথে মুসল্লিদের সংঘর্ষ
রবিবার সকালে খুলনা মহানগরীর ডাংকবাংলো মোড়, ফেরীঘাট মোড়, নিউমার্কেট বায়তুন কমপ্লেক্স, বঙ্গবন্ধু চত্বর (ময়লাপোতা মোড়), শিববাড়ী মোড় ও রূপসা ট্রাফিক মোড় ঘুরে দেখা যায়, হরতালের কারণে অন্যান্য দিনের তুলনায় রাস্তায় গণপরিবহন ও লোক সমাগম তুলনামূলক কম। মোড়ে মোড়ে সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ। বড় বাজার ও মার্কেট এলাকাতেও অন্যান্য দিনের চেয়ে জনসমাগম কম ছিল।
দায়িত্বরত একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যেকোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি প্রতিরোধে সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ। নগরীতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বৃদ্ধি করা হয় টহলও। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। কোনো মিছিল মিটিং হয়নি বলে জানিয়েছেন দায়িত্বশীল পুলিশ সদস্যরা।
এদিকে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস হিসেবে যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। সোনাডাঙ্গা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালেও সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ। সকাল থেকেই স্বাভাবিকভাবেই ছেড়ে যায় দুরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহন।
একাধিক পথচারী জানান, এখন আর কেউ কি হরতাল মানে? তেমন কোন প্রভাব পড়েনি হরতালের।
অপরদিকে মহানগর যুবলীগ ও ছাত্রলীগ হরতাল, মৌলবাদ ও জঙ্গীবাদ বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় দলীয় কার্যালয় থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: হাটহাজারীর পরিস্থিতি থমথমে, মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর যুবলীগের আহবায়ক শফিকুর রহমান পলাশ ও পরিচালনা করেন মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও এ দেশের স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি মৌলবাদের লেবাসে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। মুজিব আদর্শে বলিয়ান হয়ে স্বাধীনতা বিরোধী এসব অপশক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে।