২০০১ সালের রমনা বটমূল গণহত্যা মামলাসহ দুটি মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামিকে বুধবার নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার র্যাব এ তথ্য জানিয়েছে।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার মুফতি আব্দুল হাই হরকাত-উল-জিহাদ-আল ইসলামী বাংলাদেশের (হুজি-বি) প্রতিষ্ঠাতা আমির।
র্যাব সদর দপ্তরের সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া উইং) ইমরান খান জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা এলাকা থেকে আব্দুল হাইকে গ্রেপ্তার করেছে।
র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ইমরান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায় যে আদালত ১৩টি ফৌজদারি মামলায় তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
তিনি ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামিও ছিলেন। ওই মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আব্দুল হাই গ্রেনেড হামলা মামলায় সরাসরি জড়িত ছিলেন। সাবেক অর্থমন্ত্রী এসএম কিবরিয়া হত্যা মামলায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলার আসামি ছিলেন তিনি।
তিনি কুমিল্লা জেলার সাতটি মামলায় ওয়ান্টেড ছিলেন।
আব্দুল হাই ২০০৬ সাল থেকে পলাতক। কুমিল্লা জেলায় তার শ্বশুর বাড়িতে আশ্রয় নেন।
তার শ্বশুর গৌরীপুর বাজারে ডিলারশিপের মাধ্যমে ভোজ্যতেল ও কেরোসিন তেলের ব্যবসা করতেন এবং আব্দুল হাই তাকে সহযোগিতা করতেন।
আরও পড়ুন: রমনার বটমূলে বোমা হামলা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
ইমরান বলেন, ২০০৯ সালে তিনি কুমিল্লা ছেড়ে নারায়ণগঞ্জে একটি বাসা ভাড়া নেন যেখান থেকে র্যাব তাকে আটক করে।
এর আগে গত ১৫ এপ্রিল ২০০১ সালের রমনা বটমূল গণহত্যা মামলার আরেক পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুফতি শফিকুর রহমান ওরফে আবদুল করিম ওরফে শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
২০১৪ সালের ২৩ জুন ঢাকার একটি আদালত ২০০১ সালের রমনা বটমূলে বোমা হামলার জন্য আট জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
২০১৭ সালের ২০ আগস্ট ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ ২০০০ সালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
২০০০ সালের ২০ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফুর রহমান সরকারি উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন একটি দোকানের সামনে পুলিশ ৭৬ কেজি ওজনের একটি ভারী বোমা খুঁজে পায়। ২২ জুলাই যেখানে একটি সমাবেশে শেখ হাসিনার বক্তৃতা করার কথা ছিল।
এরপর ২০০০ সালের ২৩ জুলাই কোটালীপাড়া হেলিপ্যাডের কাছে থেকে সেনাবাহিনীর একটি বোমা বিশেষজ্ঞ স্কোয়াড ৪০ কেজি ওজনের আরেকটি বোমাও উদ্ধার করেছিল।
২০০১ সালে রাজধানীর রমনা বটমূল এলাকায় বাংলা নববর্ষ উদযাপনের সময় এক বোমা বিস্ফোরণে দশ জন নিহত এবং ৫০ জন আহত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: রমনা বটমূলে হামলা: ডেথ রেফারেন্সের শুনানি কার্যতালিকা থেকে বাদ