সেই সাথে তারা রোহিঙ্গাদের ফেরার জন্য রাখাইনে নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নসহ ‘বৃহত্তর প্রচেষ্টা’ নেয়ার প্রয়োজন সম্পর্কে ঐকমত্য প্রকাশ করেন।
দুই নেতা নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউজে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সময় এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশে বর্তমানে ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়ে আছেন। তাদের বেশিরভাগই ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর কক্সবাজারে প্রবেশ করেছেন।
রাখাইন রাজ্যে প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি তৈরি না হওয়ায় এবং রোহিঙ্গাদের মাঝে থাকা ‘আস্থার ঘাটতি’ মিয়ানমার দূর করতে না পারায় তাদের প্রত্যাবাসনের দুটি প্রচেষ্টা ইতিমধ্যে ব্যর্থ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী হাসিনা মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত মানুষদের সাহায্যে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে ভারতের দেয়া মানবিক সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বলে তার ভারত সফর উপলক্ষে দেয়া এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত লোকজনকে আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেন।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয়দানে বাংলাদেশ সরকারের মানবিক প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করতে ভারত তাদের পঞ্চম কিস্তির মানবিক সহায়তা পাঠাবে।
এ কিস্তিতে তাবু, ত্রাণ ও উদ্ধার সামগ্রীর পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত নারীদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য এক হাজার সেলাই মেশিন থাকবে।
এছাড়া, ভারত রাখাইন রাজ্যে ২৫০টি ঘর নির্মাণের একটি প্রকল্প শেষ করেছে এবং এখন ওই এলাকায় আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের আরেকটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
দুই প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ ও অন্যান্য বহুপক্ষীয় সংস্থায় ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা নিয়ে তাদের প্রতিশ্রুতি পুনরায় ব্যক্ত করেন। সেই সাথে তারা বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক সাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন, যেখানে এজেন্ডা ২০৩০-এ অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলোকে তাদের অঙ্গীকার পূরণ করতে বলা হবে।
উভয় নেতা একমত হন যে আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা দুই দেশের জন্য এক অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র। এ লক্ষ্য পূরণে তারা বিমসটেককে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য কার্যকর বাহন হিসেবে গড়ে তুলতে সংস্থাটির কার্যক্রমে গতি আনার বিষয়ে একমত পোষণ করেন।