বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বৃহস্পতিবার রায় দিলেও বিষয়টি রবিবার প্রকাশ পেয়েছে।
দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হাইকোর্টের এ রায় যুগান্তকারী। এমন রায়ের মধ্য দিয়ে উচ্চ আদালত দুদকের মামলার বিষয়ে কোনো ধরণের নাক না গলানোর সর্তকবাতা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতিবাজ রুই-কাতলদের আইনের আওতায় আনতে হবে: হাইকোর্ট
দুদকের মামলা সরকার চাইলেও যে প্রত্যাহারের সুপারিশ করতে পারবে না, এ নিয়ে হাইকোর্টের রায় এটাই প্রথম বলেও জানান তিনি।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বিগত ১/১১ এর পর আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখন ফৌজদারিসহ অসংখ্য মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়।
ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারা অনুযায়ী, এ মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়। সেই সময় দুদকের মামলাও প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়। তখন অনেক ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার হলেও দুদকের মামলায় আইনী প্রশ্ন জড়িত থাকার কারনে কোনো মামলা প্রত্যাহার হয়নি। কিন্তু ওই সময়ে সিলেটের ইউনিয়ন পরিষদের এক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৫টি টিন চুরির অভিযোগে দুদকের মামলা প্রত্যাহারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সুপারিশ করে। আদালতও মামলাটি চুড়ান্তভাবে প্রত্যাহারের আদেশ দেন। এ ঘটনায় ২০১৬ সালে হাইকোটে রিভিশন আবেদন করে দুদক।
আরও পড়ুন: আ’লীগই ‘দুর্নীতির বিষবৃক্ষ’ রোপন করেছে: বিএনপি
আবেদনে বলা হয়, যে প্রক্রিয়ায় এটি করা হয়েছে তা সঠিক আইন মেনে হয়নি। সে আবেদনের ওপর হাইকোট চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন বৃহস্পতিবার।
রায়ে হাইকোর্ট বলেন, ২০০৪ সালের সংশোধিত আইন অনুযায়ী দুদক একটি স্বাধীন ও স্বতন্ত্র সংস্থা। এর ফলে দুদকের অনুমোদিত কোনো মামলা প্রত্যাহারের কেউ কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: বিলিয়ন ডলার দুর্নীতির মামলায় নাজিব রাজাক দোষী সাব্যস্ত
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আসামির আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেন, ভুক্তভোগি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কি না সে বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।