দেশের দারিদ্র্য হার কমাতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর লক্ষ্যেই আগামী বাজেট বাস্তবায়নের চিন্তা করছে সরকার।
আগামী বাজেটের এক নথি পর্যালোচনায় জানা যায়, দেশের দারিদ্র্যতা ও অসমতা দূর করে নিম্ন আয়ের মানুষদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্যই এমন পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: বাজেট: কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ না দেয়ায় টিআইবির সাধুবাদ
দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে সরকার দরিদ্র ও ক্ষতিগ্রস্তদের আরও বেশি করে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে। এর পাশাপাশি, দেশে ও বিদেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ক্ষুদ্রঋণ এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
বাজেট সংক্রান্ত নথি থেকে জানা যায়, এসব খাতে সরকার আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে আরও বেশি গুরুত্ব দিতে যাচ্ছে। সরকারের এখন অন্যতম চেষ্টাই হচ্ছে আরও বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই ও সার্বিক উন্নয়ন সাধন করা।
আরও পড়ুন: বাজেটে দরিদ্র ও বেকাররা ব্যাপকভাবে অবহেলিত: বিএনপি
দেশের আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজেট বাস্তবায়নের জন্য বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ তৈরি, রপ্তানি বৃদ্ধি, ব্যবসা বান্ধব কর ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক খাতকে পুনর্গঠন এবং জনগণের কাছ থেকে বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
এবারের বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো- স্বাস্থ্য খাতের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি এবং বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির অন্তরায়গুলো দূর করা।
আরও পড়ুন: বাজেটে জীবন, জীবিকার সুরক্ষায় সুনির্দিষ্ট রূপরেখা নেই: সিপিডি
এর পাশাপাশি সরকার দেশের বড়-বড় প্রকল্প সহ সকল গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প সঠিক সময়ে মধ্যে বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে প্রবৃদ্ধির টেকসই উর্ধ্বগতি নিশ্চিত করতে চায়।
এসকল প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম হলো - পদ্মা সেতু, পদ্মা রেল সেতু, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা সমুদ্র বন্দর, মাতারবাড়ি পাওয়া প্ল্যান্ট এবং ঢাকা মেট্রোরেল।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেট তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের অন্তরায়
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির মাঝেই জীবন এবং জীবিকা নিশ্চিত ও অর্থনৈতিক প্রভাব কাটিতে ওঠার লক্ষ্যে সরকার আসন্ন অর্থবছরে গতানুগতিক বাজেটের থেকে একটু ভিন্ন ধারার বাজেট আনতে চলেছে।