ব্যাংকটির নেয়া দ্য এশিয়ান প্যাসিফিক ভ্যাকসিন ফেসিলিটি (এপিভ্যাক্স) উদ্যোগের আওতায় এডিবির সদস্য এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ৬৮ দেশ বা অঞ্চল এর সুবিধা পাবে।
এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসসাতুগু আসাকাওয়া বলেন, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এডিবির সদস্য দেশগুলো তাদের জনগণের জন্য করোনার টিকা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। টিকা কেনা এবং নিরাপদে, সমানভাবে ও কার্যকর উপায়ে টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে তাদের অর্থের প্রয়োজন হবে। এপিব্যাক্স আমাদের উন্নয়নশীল সদস্যদের এই করোনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে, মহামারি কাটিয়ে উঠতে এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
আরও পড়ুন: করোনা: বাংলাদেশকে এডিবির আরও ৩ মিলিয়ন ডলার সহায়তা
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রায় এক কোটি ৪৩ লাখ মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে দুই লাখেরও বেশি লোক মারা গেছে। মহামারি চলাকালীন সময়ে ২০২০ সালে উন্নয়নশীল এশিয়ায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ০.৪ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এডিবি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় নিরাপদ, ন্যায়সঙ্গত ও কার্যকর টিকা পাওয়ার প্রচেষ্টার উপর অগ্রাধিকার দিচ্ছে। তারা মনে করছে টিকা কর্মসূচির মাধ্যমে ভাইরাসের সংক্রমণের মাত্রা কমিয়ে দিতে, জীবন বাঁচাতে ও মহামারির কারণে সৃষ্ট নেতিবাচক অর্থনৈতিক প্রভাব কমাতে পারবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২০২১ অর্থবছরে ৬.৮ শতাংশ হবে: এডিবি
এপিভ্যাক্স দুটি কৌশল অবলম্বন করে এশিয়ার টিকা সরবরাহ বিস্তৃত কাঠামো তৈরি করবে। যা এডিবির উন্নয়নশীল দেশগুলোর টিকা কেনা ও পরিবহনের জন্য সময়োপযোগী সহায়তা করতে পারবে।
বিশ্বব্যাংক গ্রুপ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), কোভ্যাক্স, গাভি, দ্বিপক্ষীয় ও বহুপাক্ষিক অংশীদারদেরসহ অন্যান্য উন্নয়ন অংশীদারদের সাথে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় করে এডিবি অর্থায়ন করবে।