ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট দেশটির ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেলের (ডিসিজিআই)কাছে কোভিশিল্ড টিকা বুস্টার ডোজ হিসেবে ব্যবহারের অনুমোদন চেয়েছে। তারা দেশে ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা এবং করোনাভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ায় একটি বুস্টার শটের চাহিদা উল্লেখ করেছে।
মঙ্গলবার ডিসিজিআই’এর কাছে একটি আবেদনে সিরাম ইনস্টিটিউটের সরকার ও নিয়ন্ত্রক বিষয়ক পরিচালক প্রকাশ কুমার সিং বলেছেন, যুক্তরাজ্যের মেডিসিন এন্ড হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট রেগুলেটরি এজেন্সি ইতোমধ্যেই অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার বুস্টার ডোজের অনুমোদন দিয়েছে।
আবেদনে প্রকাশ কুমার বলেছেন, বিশ্ব মহামারি পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার সাথে সাথে অনেক দেশ করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু করেছে। আমাদের দেশের জনগণের পাশাপাশি অন্যান্য দেশের নাগরিক যারা ইতোমধ্যেই কোভিশিল্ডের সম্পূর্ণ ডোজ টিকা নিয়েছেন, তারা বুস্টার ডোজের জন্য আমাদের ক্রমাগত অনুরোধ করছে।
আবেদনে আরও বলা হয়, আপনি জানেন এখন আমাদের দেশে কোভিশিল্ড টিকার কোনো অভাব নেই এবং চলমান করোনা মহামারি এবং নতুন স্ট্রেনের কারণে যারা ইতোমধ্যে দুটি ডোজ নিয়েছেন, তাদের কাছ থেকে বুস্টার ডোজের অনুরোধ দিন দিন বাড়ছে। এই মহামারি পরিস্থিতিতে নিজেদের রক্ষা করার জন্য তাদের তৃতীয় ডোজ/বুস্টার ডোজ থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়। এটা সময়ের প্রয়োজন এবং প্রতিটি ব্যক্তির স্বাস্থ্য অধিকারের বিষয়।
আরও পড়ুন: ভারতে প্রথম ২ জনের ওমিক্রন শনাক্ত
কেন্দ্রীয় সরকার সংসদকে জানিয়েছে যে টিকা সংক্রান্ত জাতীয় প্রযুক্তিগত উপদেষ্টা গ্রুপ এবং করোনা ভ্যাকসিন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের জাতীয় বিশেষজ্ঞ দল একটি বুস্টার ডোজের প্রয়োজনীয়তা এবং ন্যায্যতার জন্য বৈজ্ঞানিক প্রমাণ বিবেচনা করছে।
সম্প্রতি কেরালা, রাজস্থান, কর্ণাটক এবং ছত্তিশগড় রাজ্যের পক্ষ থেকে ওমিক্রনের বিস্তার রোধে করোনা টিকার বুস্টার ডোজের অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছে।
দিল্লি হাইকোর্ট ২৫ নভেম্বর কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছিল,যাদের করোনা টিকার সম্পূর্ণ ডোজ দেয়া হয়েছে তাদের বুস্টার ডোজ দেয়ার বিষয়ে কেন্দ্রের অবস্থান স্পষ্ট করতে। কারণ তারা কোনোভাবেই দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি চায় না।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন: সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নতুন ভ্রমণ নির্দেশনা জারি ভারতের