হামাসের ঘাঁটি দাবি করে মধ্য গাজার একটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ ঘটনায় পাঁচ শিশুসহ অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে এই হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। জাতিসংঘের এজেন্সি দ্বারা পরিচালিত স্কুলটি শরণার্থীদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল।
মধ্য গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিমান ও স্থল অভিযান শুরুর ঘোষণা দেওয়ার পরই এ হামলা হলো।
আরও পড়ুন: আমাদের কিছুই নেই: হামলায় খাদ্যের সন্ধানে থাকা ফিলিস্তিনিরা
ওই স্কুলে হামলার পর ৩০টি এবং একটি বাসভনে পৃথক হামলার পর ছয়টি লাশ পেয়েছে বলে জানিয়েছে দাইর আল-বালাহর আল-আকসা শহিদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের কাছেই আশ্রয় নেওয়া মোহাম্মদ আল-কারিম নামের বাস্তুচ্যুত এক ফিলিস্তিনি ঘটনাটিকে ‘বিপর্যয়কর’ বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, হাসপাতালে একের পর এক গাড়ি আসছিল আর গাড়ি থেকে আহতদের তড়িঘড়ি করে (হাসপাতালের) জরুরি বিভাগে নেওয়া হচ্ছিল। এরপর সাদা কাফনে মোড়ানো লাশের স্তুপ থেকে স্বজনদের খুঁজতে ভিড় করে লোকজন। এক মহিলা লাশগুলোর মধ্যে তার ছেলে আছে কি না, তা দেখতে কাফন খুলতে মেডিকেলের কর্মীদের বারবার অনুরোধ করছিল।
অনলাইনে প্রকাশিত হাসপাতালের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আহতদের বেশ কয়েকজন হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমানে এটি গাজার একটি সাধারণ দৃশ্য।
আরও পড়ুন: বাইডেনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে উভয়সংকটে নেতানিয়াহু
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের যুদ্ধবিমান যে স্কুলটিতে হামলা করেছে, সেটি হামাস ও ইসলামিক জিহাদ নিজেদের অপারেশনের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছিল। তবে এ দাবির উপযুক্ত প্রমাণ তারা দেখায়নি।
গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় বসবাসরত ২৩ লাখ বাসিন্দার অধিকাংশই বাস্তুচ্যুত হয়েছে।