গত ১৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করে ভারত। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভাক্সিন নামে দুটি ভ্যাকসিন নেয়া শুরু করেন মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে থাকা স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথম সারির যোদ্ধারা।
দ্বিতীয় ধাপে পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সীরা করোনার টিকা গ্রহণ করবেন। সকল এমপি ও বিধায়ক যাদের বয়স ৫০ এর বেশি তারাও টিকা নিয়ে এইকার্যক্রমে অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন: সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি: বিশ্বে মোট আক্রান্ত ৯ কোটি ৬৮ লাখ ছাড়াল
কার্যক্রম শুরুর আগে মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, টিকা গ্রহণের জন্য আতঙ্কিত বা হুড়োহুড়ি করার দরকার নেই, কারণ তারা দ্বিতীয় দফায় টিকা পাবেন।
হরিয়ানা, বিহার ও ওড়িশার মতো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা পরামর্শ দেন যে বিধায়ক, সাংসদ এবং অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের সম্মুখভাগের কর্মী হিসেবে বিবেচনা করা উচিত এবং তাদের আগে টিকা দেয়া উচিত।
আরও পড়ুন: করোনার অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৫ লাখ ৯৫ হাজারের বেশি এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৫২ হাজার ৭১৮ জন।
আরও পড়ুন: কোভিড: সাড়ে ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন দৈনিক মৃত্যু দেখল দেশ
জেএইচইউ এর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৬৮ লাখ ২৩ হাজার ৯৬৮ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২০ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬৬ জনে। কোভিড-১৯ থেকে বিশ্বে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫ কোটি ৩৩ লাখ ২৮ হাজার ২১১ জন।
আরও পড়ুন: করোনা: বাংলাদেশকে বৃহস্পতিবার ২০ লাখ ভ্যাকসিন ‘উপহার’ দেবে ভারত
ভ্যাকসিন নিয়ে দেশে মেগা লুটপাট চলছে: মির্জা ফখরুল
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় চীনের উহানে। সদ্য সমাপ্ত ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
আরও পড়ুন: ভারতে করোনার টিকা নেয়ার পর ৪৪৭ জন অসুস্থ