তিনি বলেন, ‘আজকে ভারত স্বীকার করে যে তাদের প্রবৃদ্ধি ১০ ভাগ কমে গেছে। আর এরা (বাংলাদেশ সরকার) বলছে মিথ্যা কথা...জাস্ট ইমাজিন। একটা সরকার কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে জনগণের সাথে মিথ্যা কথা বলে।’
রাজধানীতে এক সেমিনারে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সরকারের হিসাব মতে গত অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৫.২৪ শতাংশ, আর আগের অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.১৫ শতাংশ। তবে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মতে সেটা অনেক কম।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকার সম্পূর্ণভাবে জনবচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা মিথ্যাচার করছে। প্রণোদনা...আমরা প্রথমেই বলেছিলাম এটা শুভংকরের ফাঁকি। এটা তারা দিচ্ছে ব্যাংক থেকে। যাদের টাকাটা দেবে, যারা পাবে...ব্যাংক যদি খুশি হয়, তারা সন্তুষ্ট হয়, তাহলেই। ফলে কী হয়েছে? যারা সরকারের সাথে সম্পৃক্ত নয়, যারা ব্যাংকের সাথে বিভিন্ন লেনদেনের সাথে সম্পৃক্ত নয়, তারা কিন্তু এ প্রণোদনা পাচ্ছে না।’
অ্যাগ্রিকালচারিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (অ্যাব) প্রেস ক্লাবে ‘কোভিড-১৯ এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের কৃষি সেক্টরে কৌশল নির্ধারণ’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত ও গ্রামীণ অর্থনীতি ভয়াবহ অবস্থায় পড়লেও সরকার বিষয়টি ঢেকে রাখছে। আমার কাছে মনে হয় সচেতনভাবে তারা এ দেশের অর্থনীতিকে নষ্ট করে দেয়ার জন্য, এটাকে পরনির্ভরশীল করে দেয়ার জন্য এটা করছে। ’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এখনও তো দুর্নীতি আর দুর্নীতি। চতুর্দিকে দুর্নীতি ছাড়া আর কিছু নেই। এমনকি, সরকার স্বাস্থ্য খাতে নিয়েও সঠিক তথ্য দিচ্ছে না। একটা কথাও সত্য বলে না। যে সরকারি ভাষ্য দেয় সেই ভাষ্যের সাথে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। আমি তো আমার চতুর্দিকে দেখি যে সবাই কোভিডে আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে। খুব কম পরিবার আছে যাদের কেউ না কেউ আক্রান্ত না হয়েছেন।’
তিনি বলেন, ঢাকা উত্তরের মেয়র তার গোটা পরিবারের ১৯ জন একসাথে হাসপাতালে গেছে, একসাথে বেরিয়ে আসছে। তারপরেও তারা বলবেন যে দৈনিক আক্রান্তদের সংখ্যা এক হাজার কিছু বেশি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জেলাগুলোতে এখন কোনো টেস্ট হয় না বলে দাবি করেন তিনি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘ট্রাম্পের যে কথা ছিল, নো টেস্ট নো করোনা। এখন নো টেস্ট নো করোনা হচ্ছে।’