পঞ্চগড়ে পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও অর্ধশত নেতাকর্মী।
শনিবার দুপুরের পর পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে গণমিছিল করার সময় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত বিএনপি নেতার নাম আব্দুর রশিদ আরেফিন (৫০)। তিনি জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের হরিপুর এলাকার খোরশেদ মুহুরীর ছেলে।
তিনি ময়দানদিঘী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং বর্তমানে ইউনিয়ন বিএনপি'র যুগ্ম আহ্বায়ক। বর্তমানে তার লাশ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী বিএনপি নেতাকর্মী সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১০ দফা দাবিতে পঞ্চগড়ে বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল শুরু করার আগেই পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়। বাধা উপেক্ষা করে মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপসহ লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ শুরু করে। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এক থেকে দেড় ঘন্টার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পুরো শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষ চলে বিকাল ৬টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে মিছিল থেকে জামায়াত শিবিরের ৮ নেতাকর্মী আটক
বন্ধ হয়ে যায় প্রধান সড়ক ও দোকানপাট। সাইকেল রিকশা ভ্যান চললেও অন্য কোন যানবাহন চলাচল করেনি।
অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের লাঠির আঘাতে ময়দানদিঘী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রশিদ আরেফিন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান বাবুসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। নেতাকর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তৌফিক আহামেদ জানান, আব্দুর রশিদ আরেফিন নামে এক ব্যক্তির লাশ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা যান। তবে কিভাবে বা কি কারণে তিনি মারা গেছেন তা পোস্ট মর্টেম ছাড়া বলা যাবে না।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে নিজেদের কার্যালয় ভাঙচুরের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি বিএনপির
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে গণমিছিল শুরু করেছিল। এসময় পুলিশ আমাদের বাঁধা দেয়। তারা কাঁদানে গ্যাস, লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট ছোড়ে আমাদের ছত্রভঙ্গ করে লাঠিচার্জ করতে থাকে। বিএনপির একজন নেতা নিহত ও প্রায় দুইশ’ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
শান্তিপূর্ণভাবে গণমিছিলে পুলিশ হামলা করে একজনকে হত্যা ও নেতাকর্মীদের আহত করার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় জামায়াতের গণমিছিল থেকে আটক ১৬