হবিগঞ্জের লাখাইয়ে সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ সফলের জন্য প্রস্তুতি সভায় পুলিশের হামলায় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হওয়ার অভিযোগ করেছে বিএনপির। বুধবার (১৬ নভেম্বর)উপজেলার বামৈ বাজারের ফরিদ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভায় এ ঘটনা ঘটে।
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ জানান, বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভায় উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ ফরিদ মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জিকে গউছ। মাগরিবের নামাজের পর সভা শুরু হওয়ামাত্র পুলিশ সভাস্থলে এসে ব্যাপক গুলিবর্ষণ ও লাঠিচার্জ করে। এতে জিকে গউছসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়াও পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের সভাস্থলে অবরুদ্ধ করে রাখে। প্রায় দুই ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর রাত ৮টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা সভাস্থল থেকে বের হন।
এসময় পুলিশ লাখাই উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ ফরিদ মিয়াকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গেছে বলেও জানান জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক।
জালাল আহমেদ রাত ৮টায় জানান, তারা উপজেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে বের হয়ে বামৈ বাজারে সভা করছেন।
অন্যদিকে পুলিশের দাবি বিএনপির হামলায় ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুনু মিয়া জানান, বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে লাখাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) চম্পক দামসহ ১০ পুলিশ আহত হয়েছেন। এসময় পুলিশ জনগণের জানমাল রক্ষায় ফাঁকা গুলি ছুড়ে। আহত পুলিশদের লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ইলিয়াস আলীর স্ত্রীর গাড়িবহরে হামলা, ৩ ছাত্রদল নেতা আটক
তবে তিনি উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ ফরিদ মিয়াকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এদিকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে ছাড়া পেয়ে বামৈ বাজারে এক সভা করে বিএনপি।
সেখানে জিকে গউছ বলেন, পুলিশ বিনা উস্কানীতে শান্তিপূর্ণ সভায় হামলা চালিয়ে শতাধিক নেতাকর্মীকে আহত করেছে। পুলিশ গুলিতে আমাদের নেতাকর্মীদের শরীর ঝাঁঝরা হয়ে গেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে এই পুলিশদের; দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় আনা হবে।
এসময় জিকে গউছ আরও বলেন, পুলিশের হামলার ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বিষয়টির খোঁজ নিয়েছেন। আমরা কোনভাবেই পিছপা হব না। যেকোন মূল্যে সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করা হবে। কোন অপশক্তি আমাদের রুখতে পারবে না।
আরও পড়ুন: নাটোরে বিএনপির কার্যালয় আ.লীগ নেতাকর্মীদের ভাঙচুরের অভিযোগ