বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন যে তাদের দলীয় সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করার পর শূন্য হয়ে যাওয়া ছয়টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে প্রকৃত গড় ভোটার উপস্থিতি পাঁচ শতাংশের বেশি হয়নি।
তিনি বলেন, ‘তথাকথিত নির্বাচন কমিশন গতকাল (বুধবার) উপ-নির্বাচন করেছে। তাদের (ইসি) হিসাব অনুযায়ী এই উপনির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি ১৫ থেকে ২৫ শতাংশের বেশি নয়। আমাদের (বিএনপির) হিসাব অনুযায়ী, এটা পাঁচ শতাংশের বেশি নয়।’
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এসব কথা বলেন।
সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন যে উপনির্বাচন ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের মতো ছিল। ‘আমি অনলাইনে (ওয়েব পোর্টাল) দেখেছি যে ভোটারদের অনুপস্থিতিতে কুকুর সেখানে (ভোটকেন্দ্র) শুয়ে আছে। তারা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে এই অবস্থায় নিয়ে গেছে।’
বুধবার কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনার মধ্যে ছয়টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: গাবতলী থেকে মিরপুর পর্যন্ত বিএনপির তৃতীয় পদযাত্রা শুরু
ভোটের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ছয়টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে গড় ভোটার শতকরা ১৫ থেকে ২০ ভাগ হতে পারে।
ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনগণকে চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।
‘যখন দুর্নীতি প্রবল এবং লুণ্ঠনই প্রধান লক্ষ্য, তখন বৈশ্বিক মন্দার কথা বলার কোনও মানে নেই। দুর্নীতির কারণে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় আপনারা (সরকার) জনগণের জীবন দুর্বিষহ করে তুলছেন।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা চাল, লবণ ও তেলের দাম বাড়াচ্ছেন এবং নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করছেন।
ফখরুল বলেন, ‘আপনি বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছেন। কিন্তু বিদ্যুৎ খাতে চুরি বন্ধ করতে পারলে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে না। এমনকি, গ্যাসের চুরি বন্ধ করতে পারলেও এর দাম বাড়াতে হবে না।’
তিনি বলেন, উন্নয়নের নামে জনগণের টাকা লুটপাটের অংশ হিসেবে সরকার এখন রাস্তা খনন শুরু করেছে। ‘এভাবে তারা জনগণের অর্থ লুট করে বিদেশে পাচার করছে কারণ দেশের জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তারা ব্যাপক দুর্নীতিতে লিপ্ত।’
প্রেস ব্রিফিংয়ের আগে বিভাগীয় পর্যায়ে শনিবারের কর্মসূচি সফল করতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ফখরুল।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং বিদ্যুত ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে শনিবার সব বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করবে বিএনপি।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য জনগণ আর বহন করতে পারবে না: বিএনপি