স্থানীয় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্তের উদ্যোগে দিবসটি উদযাপন করা হয়। ফলে সীমান্তে দুই বাংলার মিলন মেলা বসে। তবে এবার আর তা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: চামড়া পাচার রোধে হিলি সীমান্তে বিজিবির সতর্কতা
আয়োজক কমিটির সদস্যরা জানান, ২০১৫ সাল থেকে হিলি সীমান্তের শূন্য আঙিনায় (বাংলাদেশ অংশে) একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। সেখানে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনার ঘেঁষে বিশাল মঞ্চে দুই দেশের রাজনৈতিক, সমাজসেবী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী আলোচনাসভা, গান, নৃত্য আর কবিতা পাঠের আসর বসত। ১৯৫২ সালে ভাষার জন্য আত্মদানকারী সেই সকল শহীদদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করা হয়। দুই বাংলার বাংলা ভাষাভাষী মানুষেরা কিছুক্ষণের জন্য হলেও সকল ভেদাভেদ ভুলে যান। কিন্তু এবার মহামারি করোনার কারণে সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠান করা সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: হিলি সীমান্তে এয়ার রাইফেলের ৪০ হাজার গুলি উদ্ধার
প্রথম উদ্যোক্তা ও সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্তের সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, করোনার কারণে এবার হিলি সীমান্তে একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠান হবে না। ভারতের পশ্চিমবাংলার বালুরঘাটের আয়োজকদের সাথে আলোচনা করে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে সীমান্তে এই আয়োজন অব্যাহত রাখতে ওইদিন ওপার বাংলার আয়োজকদের সাথে ভার্চুয়াল মাধ্যমে একুশের আলোচনাসভা অনুষ্ঠান করা হবে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগামীতে আবারও হিলি সীমান্তে অনুষ্ঠান করা হবে।
আরও পড়ুন: হিলি সীমান্তে বিশেষ সতর্কতা জারি বিএসএফের
এব্যাপারে ভারতের পশ্চিমবাংলার বালুরঘাট উজ্জীবন সোসাইটির সম্পাদক সুরজ দাশ বলেন, ১৯৫২ সালে ভাষার জন্য শহীদদের স্মরণে আমরা হিলি সীমান্তে প্রতি বছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আয়োজন করে আসছি। এবার করোনার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা বালুরঘাটের তিওড়ে ছোট্ট পরিসরে দিবসটি উদযাপনের আয়োজন করেছি। সেখানে বাংলাদেশের আয়োজকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হিলি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়
রিফাত হত্যায় জড়িতদের পালানো ঠেকাতে হিলি সীমান্তে সতর্কতা জারি