লন্ডনযাত্রী এক প্রবাসী নারীকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। বিমানের স্থানীয় কর্মকর্তাদের হয়রানির কারণে নির্ধারিত ফ্লাইটে লন্ডন যেতে না পারার অভিযোগ করেছেন জামিলা চৌধুরী নামের ওই যাত্রী।
সিলেটের খাদিমনগরের বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী জামিলা চৌধুরী জানান, বাবার অসুস্থতার খবর পেয়ে লন্ডনে সন্তানদের রেখে জরুরিভিত্তিতে দেশে এসেছিলেন তিনি। গত ২৭ জুলাই মঙ্গলবার ফেরার কথা ছিল তার। যথারীতি সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে আড়াই কেজি স্বর্ণ উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘চেক-ইনের সময় বিমান কর্তৃপক্ষ জানান, আমার তিনটি লাগেজের ওজন নির্ধারিত ওজনের চেয়ে বেশি। বাড়তি ওজনের জন্য আমার কাছে অর্থ দাবি করেন বিমানের কর্মকর্তারা। অনেক অনুরোধের পরও তারা লাগেজগুলো ছাড়তে না চাইলে একপর্যায়ে শুধুমাত্র একটি লাগেজ নিয়েই যাবার সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু এরপরও আমাকে বোর্ডিং পাস দেননি বিমানের কর্মকর্তারা। একপর্যায়ে তাকে বিমানবন্দরে রেখেই ফ্লাইটটি লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।’
জামিলা চৌধুরী জানান, লন্ডনে যাওয়ার পর কোয়ারেন্টিনের জন্য হোটেল বুকিং দেয়া ছিল তার। কিন্তু নির্ধারিত ফ্লাইটে যেতে না পেরে মানসিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ওসমানী বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল নির্মাণে চুক্তি
তবে জামিলা চৌধুরীর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্টেশন ম্যানেজার চৌধুরী ওমর হায়াত।
অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ওই যাত্রীর সাথে নির্ধারিত ওজনের চেয়ে ৪৪ কেজি মালামাল বেশি ছিল। কিন্তু ওই যাত্রী কোনভাবেই অতিরিক্ত ওজনের মূল্য পরিশোধ করতে রাজি হননি। এমনকি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লাগেজের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি তিনি। তাই তাকে রেখেই বিমান ছাড়তে হয়েছে।’