২০২২ এর ২০ নভেম্বর দিনটিকে সামনে রেখে গোটা ফুটবল বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। কাতারের মত একটি আরব দেশ প্রথমবারের মত আয়োজন করতে যাচ্ছে সবচেয়ে বড় স্পোর্ট্স ইভেন্ট-ফিফা (ফেডারেশন ইন্টারন্যাশনাল ডি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন) বিশ্বকাপ। প্রতিটি স্টেডিয়ামে ফুটবলপ্রেমিদের জায়গাগুলো সুসজ্জিত থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস-এ রাখা সৌর-চালিত কুলিং প্রযুক্তি দিয়ে। এছাড়াও ৮টি স্টেডিয়ামের সবগুলোই হবে পরিবেশ বান্ধব এবং প্রশিক্ষণ সুবিধা সম্পন্ন। কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ-২০২২ এর স্টেডিয়ামগুলো হলো-আল বাইত, লুসাইল, আহমদ বিন আলী, আল জানুব, আল থুমামা, এডুকেশন সিটি, খলিফা ইন্টারন্যাশনাল ও স্টেডিয়াম-৯৭৪। ফুটবল বিশ্বকাপ মৌসুমের এই সূচনালগ্নে চলুন, এবার স্টেডিয়ামগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ-২০২২ এর চোখ ধাঁধানো ৮টি স্টেডিয়াম

লুসাইল স্টেডিয়াম

দর্শক ধারণ ক্ষমতা: ৮০,০০০

মধ্য দোহা থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তরে লুসাইল শহরে এই স্টেডিয়ামটির অবস্থান। এর উদ্বোধন হয়েছিলো ২০২২ এর ১১ আগস্ট আল রাইয়ান এবং আল আরাবির মধ্যকার কাতার স্টারস লিগের ম্যাচ দিয়ে। এখানে অনুষ্ঠিত হবে ফিফা বিশ্বকাপের এবারের আসরের ফাইনাল খেলা।

চারপাশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে জাকজমক ভাবে নির্মিত এর অপরিমেয় অথচ সূক্ষ্ম নকশাটি এক অপার বিস্ময়। নকশাটি সমগ্র আরব এবং ইসলামিক বিশ্ব জুড়ে পাওয়া হাতে তৈরি বাটির। আর আলোক ছটা দেয়া আয়নাগুলো ফানার নামের আরব্য লণ্ঠনের অবয়বে তৈরি। সোনালী বাহ্যিক অংশটি পুরনো ধাতব হস্তশিল্পের প্রতিলিপির সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে ধারণ করে আছে।

এখানে টুর্নামেন্টের মোট দশটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। টুর্নামেন্টের শেষ হলে স্টেডিয়ামটিকে কাতারের স্কুল, দোকান, ক্যাফে, খেলাধুলার সুবিধা এবং স্বাস্থ্য ক্লিনিকের একটি কমিউনিটি স্পেসে রূপান্তরিত করা হবে।

আল বাইত স্টেডিয়াম  

দর্শক ধারণ ক্ষমতা: ৬০,০০০

দোহা থেকে ৩৫ কিলোমিটার উত্তরে আল খোর শহরে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামটির উদ্বোধন হয়েছিলো ২০২১ এর ৩০ নভেম্বর ফিফা আরব কাপের প্রথম ম্যাচ দিয়ে। এখানে ফিফা বিশ্বকাপ কাতার ২০২২-এর উদ্বোধনী ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। একটি সেমিফাইনাল সহ টুর্নামেন্টের মোট নয়টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই ভেন্যুতে।

সম্পূর্ণ স্টেডিয়াম জুড়ে বিশাল তাঁবুর কাঠামোটি বায়েত আল শা'আর-এর নামে নামকরণ করা হয়েছে। এই তাবু কাতার এবং উপসাগরীয় অঞ্চলের বেদুঈনদের ব্যবহৃত ঐতিহাসিক তাঁবুগুলোকে প্রতিনিধিত্ব করছে।

সবুজায়ন এবং স্থায়িত্বের দৃষ্টান্ত হওয়ার সাথে সাথে স্টেডিয়ামের নকশা প্রতিফলিত করছে কাতারের ঐতিহ্যকে। আশেপাশের নয়নাভিরাম পার্ক, হ্রদ এবং সুরক্ষিত গ্রিনবেল্ট ভূমি স্টেডিয়াম থেকে সমুদ্র পর্যন্ত বিস্তৃত। স্টেডিয়ামের উপরের অংশটি একটি পাঁচ তারকা হোটেলে রূপান্তরিত হবে। ভবনের চারপাশ জুড়ে তৈরি করা হবে একটি শপিং সেন্টার, ফুড কোর্ট, জিম এবং মাল্টিপারপাস হল। 

পড়ুন: সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ: নেপালকে হারিয়ে বাংলাদেশের শিরোপা জয়

আহমদ বিন আলী স্টেডিয়াম

দর্শক ধারণ ক্ষমতা: ৪০,০০০

স্টেডিয়ামটি মধ্য দোহা থেকে ২০ কিলোমিটার পশ্চিমে কাতারের ঐতিহাসিক আল রায়ান শহরে অবস্থিত। উদ্বোধন হয়েছে ২০২০ সালের ১৮ ডিসেম্বর আমির কাপ-২০২০ এর ফাইনাল খেলার মধ্য দিয়ে। মরুভূমির প্রান্তে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামটি কাতারের হাজারো লোককথার সাক্ষী হয়ে আছে। ফলে কাতারের ফুটবলপ্রেমিদের আবেগের কেন্দ্রবিন্দ এই আহমদ বিন আলী স্টেডিয়াম।

স্টেডিয়ামের নকশা ও এর আশেপাশের বিল্ডিং, স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের দিকগুলোকে প্রতিফলিত করে। বালির টিলাতে পরিপূর্ণ সম্মুখভাগ আর নানান জ্যামিতিক আকৃতিগুলো সারিবদ্ধ গাছসহ মরুভূমির সৌন্দর্যকে নয়নাভিরাম করে তুলেছে। এছাড়াও জায়গাটি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের আধার।

রাউন্ড অফ ১৬ পর্যন্ত টুর্নামেন্টের মোট সাতটি ম্যাচ এখানে অনুষ্ঠিত হবে। গ্র্যান্ড ফিনালের পর স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ২০ হাজারে নিয়ে আসা হবে এবং পূর্বের ন্যায় আল রাইয়ান স্পোর্টস ক্লাবের কেন্দ্র হিসেবেই অভ্যাহত থাকবে।

আল জানুব স্টেডিয়াম

দর্শক ধারণ ক্ষমতা: ৪০,০০০

এটি মধ্য দোহা থেকে ২২ কিলোমিটার দক্ষিণে আল ওয়াকরাহ শহরের স্টেডিয়াম। ২০১৯ এর ১৬ মে আমির কাপ ফাইনালের সময় এর উদ্বোধন হয়। কাতারের স্টেডিয়ামগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ এই স্পোর্ট্স ভেন্যুটির নকশা করেছেন প্রয়াত জাহা হাদিদ। জাহা হাদিদ ছিলেন একজন বিখ্যাত স্থপতি এবং ২০০৪ সালে তিনি প্রথম মহিলা হিসেবে প্রিটজকার আর্কিটেকচার পুরস্কারে ভূষিত হন।

স্টেডিয়ামটি ধৌ নামের কাতারের ঐতিহ্যবাহী নৌকার বাতাসে ভরা চিত্তাকর্ষক পালের আকৃতিতে বানানো। অতীতে মাছ ধরা এবং মুক্তা সেচার জন্য এই নৌকায় করে সমুদ্রাভিযানে যাওয়া হতো।  ফুটবলের বাইরেও জায়গাটি অন্যান্য খেলাধুলা এবং অবকাশ যাপনের সুবিধা সমন্বিত পার্কল্যান্ড দ্বারা বেষ্টিত। রাউন্ড অফ ১৬ পর্যন্ত টুর্নামেন্টের মোট সাতটি ম্যাচের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে এই ভেন্যুটিকে। টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পর এর ধারণ ক্ষমতা ২০ হাজারে নামিয়ে আনা হবে এবং পূর্বের ন্যায় আল ওয়াকরাহ স্পোর্টস ক্লাবের যাবতীয় কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে।

পড়ুন: সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ: সর্বোচ্চ গোলদাতা সাবিনার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জয়

আল থুমামা স্টেডিয়াম

দর্শক ধারণ ক্ষমতা: ৪০,০০০

মধ্য দোহার ১২ কিলোমিটার দক্ষিণে এই স্টেডিয়ামের অবস্থান, যার উদ্বোধন হয়েছিলো ২০২১ এর ২২ অক্টোবর আমির কাপ-২০২১ ফাইনালের সময়। কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ-২০২২ এর স্টেডিয়ামগুলোর মধ্যে এর প্রগতিশীল আকৃতি সবচেয়ে বেশি যুগপৎ ভাবে স্থানীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং নতুন যুগকে প্রতিনিধিত্ব করে।

স্টেডিয়ামের আকৃতিটা মুলত গাহফিয়া নামের বৃত্তাকার টুপির ন্যায়, যেটি পুরো আরব বিশ্ব জুড়ে পুরুষদের বোনা ঐতিহ্যবাহী টুপি। এই টুপি সাহসিকতা ও যৌবনের প্রতীক, যা কাতারের সামাজিক জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। উদীয়মান আত্মবিশ্বাস এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষার সাথে স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভবিষ্যতের দিকে প্রথম পদক্ষেপের পরিচায়ক এই টুপি।

কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত মোট আটটি ম্যাচের আয়োজন করা হবে এই স্টেডিয়ামে। চূড়ান্ত পর্বের পর স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা ২০ হাজারে এ কমিয়ে আনা হবে এবং স্টেডিয়ামের উপরের স্ট্যান্ডে একটি বুটিক হোটেল খোলা হবে। স্টেডিয়ামের আশেপাশের এলাকায় দৌড়ানো এবং সাইকেল চালানোর ট্র্যাক, ভলিবল, বাস্কেটবল এবং সাঁতার সহ বিভিন্ন খেলাধুলার সুবিধা থাকবে।

এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম

দর্শক ধারণ ক্ষমতা: ৪০,০০০

এই ভেন্যুটি অবস্থিত কাতারের সেরা সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিপূর্ণ শহর আল রায়ানে, যার অবস্থান মধ্য দোহা থেকে ৭ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। স্টেডিয়ামটি উদ্বোধন হয়েছিলো কোভিড চলাকালীন সময়ে (২০২০ সালের ১৫ জুন) একটি ভার্চুয়াল ইভেন্টের মাধ্যমে ফ্রন্টলাইন কর্মীদের শ্রদ্ধা জানিয়ে। আরবের গতিশীল উচ্চশিক্ষার এই প্রাণকেন্দ্রটি নতুন ধারণা এবং অত্যাধুনিক গবেষণার জন্য বিখ্যাত।

স্টেডিয়ামের অত্যাধুনিক নকশা নির্বিঘ্নে মিশে গেছে ঐতিহ্যবাহী ইসলামিক স্থাপত্যের সাথে। বাইরের দিকে প্রিজমের মতো জ্যামিতিক নিদর্শন তৈরি সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত চকচক করতে থাকে। আর রাতে সম্মুখভাগে ডিজিটাল লাইটের প্রদর্শনী দর্শনার্থীদের চোখ ধাঁধিয়ে দেয়।

কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত সর্বসাকূল্যে আটটি ম্যাচের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে এই স্টেডিয়ামটিকে। এর ধারণ ক্ষমতা অর্ধেকে হ্রাস করিয়ে খেলাধুলার অবকাঠামো নেই এমন দেশে আসনগুলো দান করা হবে।

পড়ুন: ২০ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিজয়ী রজার ফেদেরারের অবসরের ঘোষণা

খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম

দর্শক ধারণ ক্ষমতা: ৪০,০০০

মধ্য দোহা থেকে ৫ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত এটি আল রায়ানের সবচেয়ে প্রাচীন স্টেডিয়াম। ১৯৭৬ সালে উদ্বোধনের পর থেকে এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্রীড়া ইভেন্টের আয়োজন করেছে। প্রকৃতপক্ষে কাতারে ফুটবল বা অ্যাথলেটিক্স মানেই খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। ইতোমধ্যে এটি আরব উপসাগরীয় কাপ, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ, এবং আইএএএফ (ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ অ্যাথলেটিক ফেডারেশন) বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের মত পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ট খেলাগুলো মঞ্চস্থ করেছে। ২০১৭ সালের মে মাসে আমির কাপ ফাইনালের সময় এর পুনরায় নতুন করে উদ্বোধন করা হয়।

স্টেডিয়ামের দ্বৈত খিলানগুলো সব সময়ই একে আলাদা ভাবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। এখনো এগুলো অক্ষত রয়েছে, তবে নীচে নতুন ভাবে সংযুক্ত করা হয়েছে প্রশস্ত ছাউনি। এতে করে খেলোয়াড় এবং ফুটবলপ্রেমিদের জন্য একইভাবে আরামদায়ক তাপমাত্রা বজায় থাকে। নতুন সংযোজিত স্তরটি যোগ করেছে ১২ হাজার আসন। আর ডিজিটাল আলো ও আধুনিক সম্মুখভাগ পুরো আকৃতিতে দিয়েছে আভিজাত্যের ছোঁয়া।

এবারের বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান নির্ধারণকারি প্লে-অফ রাউন্ড সহ মোট আটটি ম্যাচের আয়োজন করবে এই ভেন্যুটি। ভেন্যুর আশেপাশে রয়েছে অ্যাসপায়ার ডোম, হামাদ অ্যাকোয়াটিকস সেন্টার, অ্যাসপায়ার পার্ক এবং দ্যা টর্চ হোটেল রয়েছে।

স্টেডিয়াম-৯৭৪

দর্শক ধারণ ক্ষমতা: ৪০,০০০

মধ্য দোহা থেকে ১০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত উপকূলবর্তী শহর রাস-বু-আবৌদের এই স্টেডিয়ামটি উদ্বোধন হয় ২০২১ এর ২০ নভেম্বর। ভেন্যুটি অবশ্য তার প্রথম ম্যাচের আগেই ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল। সম্পূর্ণ শিপিং কন্টেইনার এবং মডুলার স্টিল থেকে নির্মিত এটি প্রথম ফুটবল স্টেডিয়াম যেটি সম্পূর্ণরূপে ঢেকে ফেলা যায়।

৯৭৮ সংখ্যাটি শুধুমাত্র কাতারের আন্তর্জাতিক ডায়ালিং কোডই নয়, আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে- স্টেডিয়ামটি নির্মাণে ব্যবহৃত শিপিং কন্টেইনারের সংখ্যাও ছিলো ৯৭৮।

এটি ১৬ রাউন্ড পর্যন্ত টুর্নামেস্টের মোট সাতটি ম্যাচ হোস্ট করবে। টুর্নামেন্টের শেষ হয়ে যাওয়ার পর কন্টেইনারসহ পুরো সুপার-স্ট্রাকচারটি পুনরায় ব্যবহার করা হবে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সুবিধার্তে। পাশাপাশি উপকূলবর্তী উন্নয়নে ব্যবসায়িক কর্মতৎপরতার ক্ষেত্রেও এগুলো বেশ সহায়ক হবে।

পড়ুন: রিয়াদকে ছাড়াই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশের দল ঘোষণা

শেষাংশ

ফিফা কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ-২০২২ এর স্টেডিয়ামগুলো "মডুলার" পদ্ধতিতে নির্মাণের করার কারণ হলো ঘরোয়া ক্রীড়া অবকাঠামোর উন্নয়ন সাধন করা। টুর্নামেন্টের পরে পুনরায় কনফিগার করা হলেও এই স্টেডিয়ামগুলোর নকশা শৈলী আরব সাম্রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে সারা বিশ্বে একটি সপ্রতিভ অবস্থান পাবে। টুর্নামেন্টের পরে প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার আসন কমিয়ে ফেলে তা উন্নয়নশীল দেশগুলোকে তাদের ক্রীড়া অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য প্রদান করা হবে। উদীয়মান অর্থনীতিতে ২২টির মতো নতুন স্টেডিয়াম তৈরি করা হবে। এই পুনর্বিন্যাসের ফলে কাতারে ২০ থেকে ২৫ হাজার আসনের স্টেডিয়ামের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে, ঘরোয়া ফুটবল বিনোদনের প্রয়োজন বহুলাংশে মেটানোর জন্য উপযুক্ত।