১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে বিজয়ের মঞ্চেই ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত সংস্করণকে বিদায় বলে দিলেন ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলি।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে ব্যাট হাতে তার ৭৬ রানের ইনিংসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ কারণে ফাইনালে ম্যান অব দ্য মাচও হয়েছেন তিনি।
ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার গ্রহণ করার পর নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়েই টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান কোহলি।
তিনি বলেন, ‘এটিই আমার শেষ বিশ্বকাপ ছিল। আমরা ঠিক এটিই অর্জন করতে চেয়েছিলাম।’
আরও পড়ুন: দেড় যুগের অপেক্ষার অবসান, টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ভারত
বিশ্বকাপের চলতি আসরের শুরু থেকে একেবারেই রানের মধ্যে ছিলেন না তিনি। আগের ৭ ম্যাচে তার মোট রান ছিল ৭৫। এর মধ্যে দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন মাত্র দুইবার, শূন্য রানেও আউট হন দুইবার। তবে ফাইনাল ম্যাচে এসে অবশেষে জ্বলে ওঠে তার ব্যাট। কিন্তু বিশ্বকাপ অভিযানে নিজের পারফরম্যান্সের বিষয়টি সচেতনভাবেই খেয়াল করেছেন তিনি।
কোহলি বলেন, ‘একদিন আপনার মনে হবে যে, আপনি রান পাচ্ছেন না, আর তখনই এমন সিদ্ধান্ত মাথায় আসে। ঈশ্বর মহান (যে তিনি আমাকে শেষটা সুন্দর করার সুযোগ দিয়েছেন)।’
‘এবার আমরা পণ করেই এসেছিলাম- হয় এবার, নয়তো কখনও নয়। ভারতের হয়ে এটিই ছিল আমার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। আর কাপটি আমি তুলে ধরতে চেয়েছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘দেখুন, এটি একপ্রকার ওপেন সিক্রেট ছিল। এই টুর্নামেন্ট শেষেই আমি (অবসরের) ঘোষণা দিতে চেয়েছিলাম। এমন নয় যে, হেরে গেলে এই ঘোষণাটি আমি দিতাম না। নতুন প্রজন্মকে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার এখনই সময়।’
আরও পড়ুন: ফাইনালে হাসল কোহলির ব্যাট, প্রোটিয়াদের সামনে বড় লক্ষ্য
২০১০ সালে ভারতের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয় বিরাট কোহলির। এরপর ওয়ানডে, টেস্টের মতো এই ফরম্যাটেও আলো ছড়িয়েছেন তিনি। দেশের হয়ে মোট ১২৫ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ১৩৭.৯৪ স্ট্রাইক রেট ও ৪৮.৬৯ গড়ে ৪ হাজার ১৮৮ রান করেছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে একটি সেঞ্চুরি ও ৩৮টি হাফ-সেঞ্চুরি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ছয়টি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে দুইবার টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেন কোহলি। ক্যারিয়ারের শেষ টুর্নামেন্টেও ম্যান অব দ্য ফাইনাল হয়েছেন তিনি। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে রোহিত শর্মার পরই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ভারতের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার।