শুক্রবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের দেখা না মেলায় তাপমাত্রা নিম্নগামী হয়ে পড়ছে। সাথে উত্তরের হিমেল হাওয়া কনকনে ঠাণ্ডার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এ অবস্থায় বিকাল হলেই প্রকৃতি ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকছে পরের দিন দুপুর পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: প্রচণ্ড শীতে কুড়িগ্রামে বোরো বীজতলা নষ্টের উপক্রম
গরম কাপড়ের অভাবে এ শীতে চরম কষ্টে ভুগছে দরিদ্র পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধরা। বিশেষ করে কৃষি শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। কনকনে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে সময়মতো কাজে বের হতে পারছেন না অনেক শ্রমিক। কমে গেছে তাদের আয় রোজগার।
এলাকার অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে
ঠাণ্ডার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে জেলার হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, প্রতিদিনই হাসপাতালে ভর্তির পাশাপাশি বহির্বিভাগে অন্তত ৮ থেকে ৯ শ রোগী চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত
স্থানীয় কৃষি আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র বলেন, ‘আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আরও কয়েক দিন তাপমাত্রা নিম্নগামী থাকতে পারে।’
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ, শীতে দুর্ভোগ সাধারণ মানুষের