রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘ বাংলাদেশের উদ্যোগে 'উইমেন ইন লিডারশিপ: হোয়াট ডাস ইট টেক' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন:সংসদ প্রাঙ্গণে 'পিতা' প্রদর্শনীর আয়োজন একটি অনন্য উদ্যোগ: স্পিকার
স্পিকার বলেছেন, নারীরা পরিবর্তনের শক্তিশালী ও কার্যকর প্রতিনিধি। নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে অধিকতর নারী নেতৃত্ব জরুরি। নারী নেতৃত্বের এই অগ্রায়নে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন। এজন্য বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া ও স্থানীয় অভিজ্ঞতার সমন্বয় দরকার।
আরও পড়ুন:ডব্লিউআইসিসিআই অ্যাওয়ার্ড পেলেন স্পিকার
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায় তাদের অবদান অনস্বীকার্য। সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায়, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নের জন্য মূলধারায় নারীদের সম্পৃক্ততা জরুরি। পরিবারকে সামলানোর পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে নিজেদের যোগ্যতা প্রতিনিয়ত প্রমাণ করছে নারীরা। উদ্ভাবনী নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে বিভিন্ন পর্যায়ে নারী নেতৃত্বকে এগিয়ে আনতে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান স্পিকার।
আরও পড়ুন: গৃহহীনদের গৃহ দেয়া মানবাধিকারের অনন্য মাইলফলক: স্পিকার
তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা নেতৃত্বের দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে যা দুঃখজনক। স্বাস্থ্যখাতসহ বিভিন্ন খাতে সেবাদানকারী হিসেবে নারীদের ভূমিকা অগ্রগণ্য হলেও নেতৃত্বের দিক থেকে তারা মাত্র ২৫ শতাংশ। এই দৃশ্যপট পরিবর্তনে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। যদিও করোনাকালীন সমইয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা, অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা প্রসারের মাধ্যমে অর্থনীতিতে তাদের অবদান ছিল লক্ষণীয়।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় যথাসময়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে কমনওয়েলথ কর্তৃক চারজনের মধ্যে অন্যতম নারী নেত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ইন্সপায়রেশনাল লিডারশিপ’ সম্মাননা অর্জন করায় তাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান স্পিকার।
নারী দিবসের প্রাক্কালে তিনি ত্রিশ লাখ শহীদ, দুই লাখ সম্ভ্রম হারানো মা-বোন, জাতীয় চার নেতা ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পোর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্যানেলিস্ট হিসেবে বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সেলিমা আহমেদ এমপি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. মীরজাদী সাবরিনা ফ্লোরা, বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি আমেনা বেগম, মিডওয়াইফারি অফিসার মোসাম্মৎ করিমা বেগম, অল ফর ওয়ান ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন কামরুন্নেসা মীরা বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি, জাতিসংঘ বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা, সংশ্লিষ্ট গণ্যমান্য ব্যক্তিরা, গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।