বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পানিতে ডুবে মৃত্যু। শুক্রবার জাতিসংঘের এই স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা জানায়, ২০১৯ সাল পর্যন্ত এক দশকে সারা বিশ্বে প্রায় ২৫ লাখেরও বেশি মানুষ পানিতে ডুবে মারা গেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুকুরে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু
রবিবার প্রথম ‘বিশ্ব পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষ্যে ডব্লিউএইচও এর প্রকাশিত তথ্য মতে, পানিতে ডুবে মৃত্যুর শিকার প্রায় ৬০ শতাংশের বয়স ৩০ বছরের নিচে। এদের মধ্যে অধিকাংশের বয়সই পাঁচ বছরের কম।
সংস্থাটির এক কর্মকর্তা ড. ডেভিড মিডংস গণমাধ্যমকে জানান, শুধু ২০১৯ সালেই বিশ্বজুড়ে ২ লাখ ৩৬ হাজার মানুস পানিতে ডুবে প্রাণ হারিয়েছেন।
তবে জাতিসংঘের এই সংস্থাটি জানায় বিশ্বজুড়ে বন্যা ও নৌ দুর্ঘটনার কারণে পানিতে ডুবে মৃত্যুর সংখ্যা বর্তমান পরিসংখ্যানে যুক্ত করা হয়নি। তাদের মতে, বিশ্বজুড়ে মোট পানিতে ডুবে মৃত্যুর সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে।
আরও পড়ুন: বিছনাকান্দিতে পানিতে ডুবে ২ কিশোরের মৃত্যু
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে পানিতে ডুবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় চীনে। এরপরেই দ্বিতীয় অবস্থানে যৌথভাবে আছে যুক্তরাষ্ট এবং ফ্রান্স। সংস্থাটি আরও জানায়, কেবল ২০১৬ সালে বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে ৪০ শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে পানিতে ডুবে মৃত্যুর হার উন্নত দেশগুলো তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি। তবে, সাধারণ কিছু সতর্কতা এবং স্বল্প খরচে এসকল মৃত্যু প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে জানায় সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: ডুবে থাকা জাহাজের সঙ্গে ধাক্কায় পদ্মা সেতুর পণ্যবাহী জাহাজডুবি
পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে সতর্কতামূলক এবং উদ্ধার কাজের প্রশিক্ষণের প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, নৌ পরিবহন চলাচল এবং বন্যায় ঝুঁকি ব্যবস্থাপানর প্রতিও নজর দেয়ার আহবান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।