মঞ্চে অবস্থান নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে কেউ আহত হয়নি।তবে হুড়োহুড়িতে সমাবেশের মঞ্চ ভেঙ্গে পড়েছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে বুধবার দুপুরে কর্ণফুলী থানার সিডিএ আবাসিক মাঠে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা সরওয়ার নিজামকে লাঞ্ছিত করে নেতাকর্মীরা।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, ‘সকাল থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে আসতে থাকে। অনুষ্ঠান শুরুর কিছুক্ষণ পরই তারা নিজেরাই মারামারিতে জড়ায়, তবে কেউ তেমন গুরুতর আহত হয়নি। বিএনপির এক নেতা লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে শুনেছি। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বক্তব্য দেয়ার সময় নেতাকর্মীরা হুড়োহুড়ি করে উঠতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি শুরু হয়। এসময় হঠাৎ মঞ্চ ভেঙে পড়ে। এরপর দুই দলের সদস্যরা চেয়ার মারামারি ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করতে নতুন বিধিনিষেধ: রিজভী
পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রধান অতিথি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দক্ষিণ জেলার আজকের সমাবেশ বাঁধ ভেঙেছে সরকার পতন আন্দোলনের। কিছুতেই জনগণকে আটকে রাখা যাবে না। এত লোকের সমাবেশ মঞ্চ তো ভাঙবেই। আন্দোলন বন্ধ হবে না, চলতে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ১৪৪ ধারার দিন শেষ হয়ে গেছে। দফায় দফায় অনুমতি নিয়ে জনসভার দিন শেষ হয়ে গেছে। দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ।
এ সমাবেশে আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম ছাড়াও কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
সমাবেশকে ঘিরে সকাল থেকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা, পটিয়া, বোয়ালখালী, বাঁশখালী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ ও কর্ণফুলী উপজেলা থেকে নেতা-কর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির ১০ নেতাকর্মীর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
বিরোধী ও ভিন্নমত দমনে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করছে: বিএনপি