সরকারের জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তের কারণে সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য আরও বাড়লে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠবে।
তিনি আরও বলেন, ‘গতরাতে (শুক্রবার রাত) জ্বালানি তেলের মূল্য একধাপে প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। যা কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা ছাড়া কিছুই নয়।’
শনিবার নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সেখানে গত ৩১ জুলাই পুলিশের গুলিতে ভোলা জেলা শাখার ছাত্রদল সভাপতি নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ জানানো হয়।
শনিবার সড়কে গণপরিবহনের কমতির বিষয়টি উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে দেশের অর্থনীতিতে ভয়াবহ প্রভাব পড়বে এবং সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘কারণ যাতায়াতের ভাড়া বাড়বে; এছাড়া চাল, ডাল, লবণ ও ভোজ্য তেলসহ সকল প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়বে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুরো দেশে এর প্রভাব পড়বে।’
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সম্পর্কে জনগণকে সরকার ভুল তথ্য দিয়েছে। কিন্তু রিজার্ভের পরিমাণ কমে যাওয়ায় তারা (সরকার) আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ চেয়েছে।
তিনি বলেন, ঋণ মঞ্জুর করার জন্য আইএমএফ কঠিন শর্ত জুড়ে দিয়েছে। যেখানে বিভিন্ন পণ্য ও খাতে সরকারের ভর্তুকি উঠিয়ে নেয়ার কথাও আছে। তাই সরকার এখন এসব করছে (লোন পাওয়ার জন্য)।
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী গত শুক্রবার জ্বালানি তেলের কিছুটা মূল্যবৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু শুক্রবার রাতে তা অসহনীয় মাত্রায় বাড়ানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার প্রতিনিয়ত জ্বালানি তেল, গ্যাস ও সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়ে দেশের মানুষকে মারাত্মক ভোগান্তিতে ফেলেছে। কাঁচামরিচের দাম এখন ৩০০ টাকা। এধরনের নিপীড়নে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
সরকার ‘অতিকায় দানব’ এ পরিণত হচ্ছে বলে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, এই অত্যাচারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা দেশপ্রেমিকদের এখন একমাত্র দায়িত্ব।