মুজিববর্ষ উপলক্ষে কুড়িগ্রামে দ্বিতীয় দফায় নির্মিত সেমি পাকা ঘর পেল ১ হাজার ৭০ জন গৃহহীন পরিবার।
রবিবার সকাল ১১ টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই শতক জমিসহ ঘর বিতরণের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের উত্তর নওয়াবশ গ্রামে ৯০ টি ঘর নিয়ে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্প মাঠে অনুষ্ঠিত ভিডিও কনফারেন্সে শেখ হাসিনা প্রথমবার কুড়িগ্রাম জেলার সাথে সংযুক্ত হন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেলো শেরপুরে ১৬৭ গৃহহীন পরিবার
এ সময় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলুফা ইয়াসমিন ও উপকারভোগী রিক্সাচালক আক্কুল মিয়া প্রধানমন্ত্রীর সাথে সরাসরি কথা বলেন।
নিজের বক্তব্যে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলুফা ইয়াছমিন জেলার সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি কুড়িগ্রাম জেলায় ১০৭০টি ঘর প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানান।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে গৃহহীনের অভাব ঘুচবে ১৫৭২ পরিবারের
অনুষ্ঠানে উপকারভোগী রিক্সাচালক আক্কুল মিয়া জানান, ‘আমি রেলের জায়গায় থাকি। একদিন রিক্সা চালায়ে বাড়িত আসি শুনি ঘরের জন্য আমার নাম নিয়া গেইছে। কথাটা শুনি বুকটা আমার বুকটা ঠান্ডা হয়া গেল। আমি বাড়ি নয় যেন ভবিষ্যৎ একটা ঠিকানা পাইলাম। এখানে দুই শতক জমি, দুইটা থাকার ঘর, রান্নাঘর, লেট্রিন, বিদ্যুৎ ও নলকুপ পাইছি। আমরা এখানে যতদিন থাকবো ততদিন আপনার জন্য, আপনার বাবার জন্য, আপনার মায়ের জন্য দোয়া করবো।’
আরও পড়ুন: মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার গৃহহীনদের জন্য ঘর
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এমপি, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক এমএ মতিন, কুড়িগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আছলাম হোসেন সওদাগর, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওয়াহাব ভূঁইয়া, রংপুর রেঞ্জর ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য, কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, জেলা পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি মো. জাফর আলী, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, উপকারভোগী ও সাংবাদিকরা।