বগুড়া শহরের তালুকদার মার্কেটের ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামকে (২৩) পরিকল্পিতভাবে হত্যা ও পুকুরে লাশ লুকিয়ে রাখার অভিযোগে ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার বিকালে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: যশোরে স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
শহিদুল ইসলাম বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার লোহাজাল গ্রামের আনসার আলীর ছেলে।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, আতিকুর রহমান আতিক (৩২), আবু বক্কর সিদ্দিক (৩৮), সাজ্জাদ হোসেন (৪০), আব্দুল হাই ওরফে দুলাল (৪০), বক্কর সরকার (৩২) এবং আব্দুর রাজ্জাক (৩৭)।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২ মার্চ রাতে শহিদুল ইসলাম রাত ১০ টায় দোকান থেকে বাসায় ফেরার পথে বগুড়া শহরের বিবির পুকুর এলাকায় নিখোঁজ হন। এরপর ৪ মার্চ দুপুরে বগুড়া-সান্তাহার পাকা রাস্তা সংলগ্ন এমবি হ্যাচারীর পুকুরে মাছ ধরার সময় জেলেদের জালে শহিদুল ইসলামের লাশ আটকা পড়ে। পরে লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এ ঘটনার দিন নিহতের ভগ্নিপতি অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে কাহালু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামিরা গ্রেপ্তারের পর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে শহিদুলকে হত্যা করে লাশ গুম করার ঘটনা স্বীকার করেন।
তদন্ত শেষে কাহালু থানার তৎকালীন সাব-ইন্সপেক্টর এসআই ইলিয়াস ৬ জন আসামিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার বিকালে আদালতে রায় ঘোষণা করেন। এ সময় এক নম্বর আসামি আতিক ছাড়া বাকি পাঁচজন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় বাগেরহাটে মাদরাসা সুপারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড