গ্রাহকের চেকের স্বাক্ষর জাল করে টাকা উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করায় প্রিমিয়ার ব্যাংকের বরিশাল ব্রাঞ্চ ইনচার্জসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আদালতের বিচারক মাসুম বিল্লাহ মামলাটি আমলে নিয়ে উপ-পরিদর্শক সমমর্যাদা সম্পন্ন কোনও গোয়েন্দা পুলিশের মাধ্যমে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী কমিশনারকে আদেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া এলাকার বাসিন্দা ও তিশা এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর মনিরুল ইসলাম খান।
আরও পড়ুন: চেক জালিয়াতি: মাগুরা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ২.৬৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ
মামলার বিবাদীরা হলো, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড বরিশালের ব্রাঞ্চ ইনচার্জ সাইফুর রহমান সরদার, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার ফয়সাল আলম ও সিনিয়র এ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহ মো. অসিউদ্দিন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর প্রিমিয়ার ব্যাংক বরিশাল শাখায় বাদী একাউন্টে ১৪ লাখ টাকা জমা দেওয়ার পরবর্তীতে একাউন্টে ব্যালেন্স অনুসন্ধানে গিয়ে একাউন্টে কোনো টাকা না থাকায় বাদী বিবাদীদের কাছে বিষয়টি জিজ্ঞাস করলে তারা কোনও উত্তর না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকে। এরপর চলতি বছরের ১৪ জুন বাদী নিয়োজিত কৌশুলীর মাধ্যমে বিবাদীদের লিগ্যাল নোটিশ করে ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর ব্যাংকে জমা দেওয়া ১৪ লাখ টাকা একাউন্টে জমা না হওয়ার কারণ জানতে চায়।
পরে বিবাদীরা তাদের নিয়োজিত কৌশুলীর মাধ্যেম জবাব দেয় যে, বাদীর নোটিশের বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং বাদীর ১৪ লাখ টাকা ভুলক্রমে ক্রেডিট হওয়ায় তা ভাউচারের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়েছে।
বিবাদীদের এই জবাবের পর বাদী ব্যাংক একাউন্টের হিসাব বিবরণী উত্তোলনের পর দেখা যায়, মনিরুল ইসলামের একাউন্টের চেকের বরাতে তার স্বাক্ষর, টাকার পরিমাণ ও বাহকের নাম জাল করে বাদীর একাউন্ট থেকে ১৪ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের জামিন জালিয়াতির ঘটনায় যুবলীগ নেতাসহ ১৬ জন কারাগারে
বিবাদীরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাদীর হাতে রক্ষিত অক্ষত চেকের বরাতে চেকে বাদীর স্বাক্ষর টাকার পরিমাণ, তারিখ ও বাহকের নাম জাল করে ওই চেকটি ব্যবহার দেখিয়ে বাদীর টাকা উত্তোলন ও আত্মসাৎ করে অপরাধ সংগঠন করায় বাদী বাধ্য হয়ে মামলাটি দায়ের করে বলে জানায়।