কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার প্রায় এক সপ্তাহ পর ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারকে ‘সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে’ মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন ৪৭ বছর বয়সী এই সাবেক ক্রিকেটার।
টুইটে তিনি লেখেন, ‘আপনাদের সবার ভালোবাসা ও প্রার্থনার জন্য অনেক ধন্যবাদ। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী হাসাপাতালে ভর্তি হলাম। আশা করি কিছু দিনের মধ্যে বাড়ি ফিরে আসব । সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।’
আরও পড়ুন:শচীন টেন্ডুলকার করোনায় আক্রান্ত
ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে স্বীকৃত শচীন টেন্ডুলকার ২৭ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তখন থেকেই তিনি মুম্বাইয়ের বাসায় হোম আইসোলেশনে ছিলেন।
তিনি ভারতের ঐতিহাসিক দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়ের ১০ম বার্ষিকীতে তার সতীর্থদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শচীন ২০১১ সালের ২ এপ্রিলের সেই বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আজকের দিনে ১০ বছর আগে ভারত বিশ্বকাপ জিতেছিল। সকল ভারতীয় ও আমার বিশ্বকাপ জয়ী সতীর্থদের অভিনন্দন।‘
২০১৩ সালের অক্টোবরে ২০০ টেস্ট খেলার পর ক্রিকেট থেকে অবসর নেন শচীন। ১৯৮৯ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। ভারতীয় এই ব্যাটসম্যান দুবার অধিনায়ক হিসেবে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেন।
ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বাধিক ৩০ হাজারেরও বেশি রানের মালিক শচীন। তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি ২০০ টেস্ট ম্যাচ খেলেন এবং ১০০টি আন্তর্জাতিক শতক করেন। ৪৬৩টি ওয়ানডে ম্যাচে তিনি ১৮ হাজার ৪২৬ রান করেন। ২০০ টেস্টে করেন ১৫ হাজার ৯২১ রান।
২০১৪ সালে তত্কালীন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় শচীনকে ভারতের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘ভারতরত্ন’দিয়ে ভূষিত করেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনের ২০১০ সালের প্রচ্ছদে বিশ্বের শীর্ষ ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় ছিল শচীনের নাম।