ইউএনএইচসিআরের ঢাকা কার্যালয়ে রবিবার সম্পাদিত চুক্তি অনুষ্ঠানে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশে অবস্থিত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা বাংলাদেশের সহকারি প্রতিনিধি ফুমিকো কাশিওয়া।
টেকনাফ উপজেলা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণে দীর্ঘদিন যাবৎ নানারকম প্রতিকূলতা মোকাবিলা করছে। মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী জোরপূর্বক বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই পরিস্থিতি আরও সংকটময় হয়ে ওঠে।
এই সহায়তা পানি সরবরাহ স্থিতিশীল করতে এবং উভয় জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে অবদান রাখবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাইডেন প্রশাসনকে নেতৃত্ব দেয়ার আহ্বান ঢাকার
মিয়ানমারে ১২০০ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা মালয়েশিয়াকে স্থগিত করার আহ্বান
প্রকল্পটি তিন বছর মেয়াদে বাস্তবায়িত হবে এবং বাংলাদেশ সরকারসহ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসক কক্সবাজারের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা ও নেতৃত্বের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।
ফুমিকো কাশিওয়া বলেন, ‘২০১৭ সালের আগস্ট থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আগমন শুরু হলে টেকনাফ এবং উখিয়াতে অবস্থানরত স্থানীয় বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীরা সর্বপ্রথম জোরপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেয়াসহ খাবার ও পানি সরবরাহ করে। স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সরকার এবং জনগণ উদারভাবে এই সঙ্কাটাপন্ন জনগোষ্ঠীর জন্য এই সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা, জাপান সরকারের সহযোগিতায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ, যাদের নিরবিচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে।’
ইতো নাওকি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে এখন পর্যন্ত সফলভাবে সহায়তা প্রদানের জন্য আমি জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার প্রশংসা করি। এই প্রকল্পটি থেকে স্থানীয় এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী উভয়ই সুবিধা ভোগ করতে পারবে। আমি আন্তরিকভাবে আশাবাদী যে এই প্রকল্পটি টেকনাফের স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং শরণার্থীদের পানি সমস্যার সমাধানে সহায়তা করবে এবং বাংলাদেশের স্থিতিশীল উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম হবে। এই সুবিধাভোগীদের জন্য জাপানের মানবিক সহায়তা ১৪০ মার্কিন ডলারে পৌছেছে এবং জাপান ফ্রি অ্যান্ড ওপেন ইন্দো-প্যাসিফিকের অনুসরণে বাংলাদেশকে সমর্থন করা অব্যাহত রাখবে।’
আগস্ট ২০১৭ সালে বাংলাদেশে শরণার্থীদের আগমন শুরু হওয়ার পর থেকে জাপান সরকার আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং এনজিওগুলিকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর উভয়কে সহায়তা করার জন্য প্রায় ১৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন করেছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থাকে দেয়া ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা এই অনুদানের অন্তর্ভুক্ত।
আরও পড়ুন: ভাসানচর: ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হচ্ছেন রোহিঙ্গারা
রোহিঙ্গা সঙ্কটের স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় ইইউ
আগস্ট ২০১৭ সালে বাংলাদেশে শরণার্থীদের আগমন শুরু হওয়ার পর থেকে জাপান সরকার আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং এনজিওগুলোকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর উভয়কে সহায়তা করার জন্য প্রায় ১৪০মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন করেছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থাকে দেয়া ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা এই অনুদানের অন্তর্ভুক্ত।