পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন যে, বেশ কয়েকটি দেশের কাছ থেকে করোনার টিকা পাওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
শুক্রবার রাতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ড. মোমেন বলেন, ‘করোনার টিকা নিয়ে জনগণের চিন্তিত হবার কিছু নেই। পর্যাপ্ত ভ্যাক্সিনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনার টিকা ক্রয়ের জন্য আলাদাভাবে অর্থ বরাদ্দ রেখেছেন।’
আরও পড়ুন: দেশে এলো মডার্নার ২৫ লাখ টিকার ১ম চালান
শুক্রবার রাতে এবং শনিবার সকালে বাংলাদেশ আমেরিকার তৈরি মডার্নার ২৫ লাখ ডোজ টিকা কোভ্যাক্সের আওতায় এবং চীনের সিনোফার্মের ২০ লাখ টিকা (বাণিজ্যিক ক্রয়) পেয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দুই উৎস থেকে টিকা পাবার পর বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটা স্থিতিশীল হয়েছে। এসময় বাংলাদেশের জন্য ভ্যাক্সিন নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহায়তার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ড. মোমোন।
আরও পড়ুন: মডার্নার পর দেশে এলো সিনোফার্ম টিকার চালান
পাশাপাশি কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশকে টিকা দিয়ে সহায়তা করায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে ধন্যবাদ জানান।
টিকার ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, নতুন করে টিকা প্রাপ্তির ফলে সারা দেশে টিকাদান কার্যক্রম আরও বেগবান হবে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় একদিনেই সর্বোচ্চ ১৪৩ জনের মৃত্যু
তিনি বলেন, সরকার বিভিন্ন দেশের সাথে অক্সফোর্ডের টিকা প্রাপ্তির বিষয়ে কথা বলছে এবং বেশ কয়েকটি দেশ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের অক্সফোর্ডের ভ্যাক্সিন প্রাপ্তির ব্যাপারে আলোচনা ফলপ্রসূ ভাবে আগাচ্ছে। এমনকি ভারতের কাছ থেকেও আগামী আগস্ট মাস নাগাদ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাক্সিন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’