প্রেমিক জুবায়ের আহমেদের আদালতে দেয়া জবানবন্দি অনুযায়ী, মাত্র ২ হাজার টাকার বিনিময়ে রুমানাকে ধর্ষকদের হাতে তুলে দেয়া হয়। পরে তাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয়।
শনিবার দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম ও সুলতান মাহমুদ প্রধানের আদালতে জুবায়ের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এ বিষয়ে দুপুরে পিবিআই কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করেন হবিগঞ্জ পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিয়া কুতুবুর রহমান চৌধুরী।
আসামির স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে তিনি জানান, ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট রাতে চার বন্ধু সাইফুর রহমান, মামুনুর রশিদ, আবু সাইদ ও ইলিয়াস মিয়ার কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে নিয়ে তাদের হাতে রাজাপুর গ্রামের রুমানাকে তুলে দেন একই এলাকার কথিত প্রেমিক জুবায়ের।
পরে সবাই মিলে রুমানাকে ধর্ষণ এবং গলা কেটে হত্যা করে স্থানীয় ঈদগাহের পাশে ধান খেতে লাশ ফেলে দেয়। ঘটনার পর দিন নিহতের মা বানেছা বেগম বাদী হয়ে বাহুবল থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
প্রথমে বাহুবল থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত শুরু করে। পরে একই বছরের ৫ ডিসেম্বর তা পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় এসআই মোহাম্মদ মাইনুল ইসলামকে।
পুলিশ প্রথমে সন্দেহভাজন হিসেবে চলতি বছরের ৬ মার্চ সাইফুর রহমানকে আটক করে। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী মামুনুর রশিদ, আবু সাঈদ ও জুবায়েরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরেক অভিযুক্ত ইলিয়াছ পলাতক রয়েছেন।