খুচরা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১৫১ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার ২৪০ টাকা থেকে এক হাজার ৩৯১ টাকা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে এই নতুন মূল্য কার্যকর হবে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
ঘোষণা অনুযায়ী, বেসরকারি খাতে প্রতি কেজি এলপিজি ১২ দশমিক ১৫ টাকা বেড়ে ১১৫ দশমিক ৮৮ টাকা হবে এবং একই অনুপাতে নতুন দামের সাথে সামঞ্জস্য রেখে অন্যান্য পরিমাণের দামও বাড়বে। সে হিসাবে গড়ে দাম বেড়েছে ১২ শতাংশ।
গাড়িতে ব্যবহৃত অটোগ্যাসের দামও এখন লিটার প্রতি ৫৭ দশমিক ৫১ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৪ দশমিক ৭৮ টাকা।
নতুন দাম ঘোষণা বিষয়ে বিইআরসি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী এলপিজির দাম বাড়ার ফলে দেশের বাজারে সঙ্কট তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে বিশ্বব্যাপী সৌদি কন্ট্রাক্ট প্রাইস (সিপি) এর বাল্ক এলপিজির দাম বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় এলপিজির দাম বাড়াতে হয়েছে।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সরবরাহ পেতে প্রাথমিকভাবে স্থানীয় সরবরাহকারীদের কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়েছিল।
তবে এখন সরবরাহ সংক্রান্ত সঙ্কট কেটে গেছে এবং স্থানীয় সরবরাহকারীদের কাছে পরের মাসের জন্য স্থানীয় চাহিদা মেটানোর মতো পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ১২ কেজি এলপিজির দাম কমল ৫০ টাকা
বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, বৈশ্বিক বাজারদরের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এলপি গ্যাস কোম্পানির এলপিজির দাম অপরিবর্তিত থাকবে।
শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, এলপিজি শিল্পের অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিরা বলেছেন, সৌদি সিপি সাধারণত প্রতি মাসের শেষে ঘোষণা করা হয় পরের মাসের জন্য এটি কার্যকর করার জন্য এবং দেশে জ্বালানির চালান আসতে ৭-১০ দিন সময় লাগে। বেশিরভাগ বাংলাদেশি প্রাইভেট কোম্পানি সৌদি সিপির ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্য থেকে তাদের বাল্ক এলপিজি আমদানি করে এবং স্থানীয়ভাবে বাজারজাত করে।
হাইকোর্টের আদেশ মেনে চলার জন্য গণশুনানির পর ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো বিইআরসি খুচরা-স্তরের এলপিজি মূল্য নির্ধারণ করে।