এছাড়া, নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ১৬৩ জনের শরীরে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৭ হাজার ২৬৫ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে শুক্রবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসের নতুন ‘ধরন’ কতটা উদ্বেগের কারণ?
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১৬৩ ল্যাবে আরটি-পিসিআর, জিন এক্সপার্ট ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৫১০টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১৩ হাজার ৬৯৫টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৩১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৪৮টি।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৬ দশমিক ১১ শতাংশ।
নতুন যে ২০ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৪ এবং নারী ৬ জন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ৬৩৬ জন বা ৭৬ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং নারী ১ হাজার ৭৬২ জন বা ২৩ দশমিক ৮২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশের ৪.৫ কোটি মানুষের জন্য কোভিড টিকা মিলবে মে-জুনের মধ্যে
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ১১৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪৮ হাজার ৮০৩ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমকি ৪৭ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর দেশে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তিন লাখ অতিক্রম করে গত ২৬ আগস্ট এবং মৃতের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়ে যায় ৪ নভেম্বর।
বিশ্ব পরিস্থিতি
বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। নতুন রোগী শনাক্তের হার বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি মৃত্যুর পরিমাণ সমানতালে বেড়ে চলেছে।
আরও পড়ুন: মাস্ক ব্যবহারই সমাধান হলে অবহেলার সুযোগ নেই: বিশেষজ্ঞদের মত
শুক্রবার সকালে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৭ লাখ ৪০ হাজার ৪৩৯ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৯২ লাখ ৯১ হাজার ৭২৭ জনে।
জেএইচইউ’র তথ্য অনুযায়ী, সারা বিশ্বে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস থেকে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ কোটি ৪৬ লাখ ৫৪ হাজার ২৪ ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: বায়োএনটেক-ফাইজার টিকা ব্যবহারে ইইউ’র শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদন
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে ১ কোটি ৮৬ লাখ ৩৪ হাজার ১৪১ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৩ লাখ ২৮ হাজার ৮৪৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত প্রায় ১ কোটি ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষ এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৫৬ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী প্রায় ৭৪ লাখ ২৪ হাজার এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৮২ জনের।
আরও পড়ুন: মা আক্রান্ত হলেও গর্ভের সন্তানের করোনা হওয়ার সম্ভাবনা কম: গবেষণা
রোগী শনাক্তের দিক দিয়ে তালিকার পরবর্তী কয়েকটি দেশ হলো- রাশিয়া (প্রায় ২৯ লাখ ৩৫ হাজার), ফ্রান্স (২৫ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি), যুক্তরাজ্য (২১ লাখ ৯৫ হাজারের বেশি) ও তুরস্ক (২১ লাখের বেশি)।
মৃতের দিক দিয়ে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে আছে মেক্সিকো (১ লাখ ২০ হাজার ৩১১ জন)। তারপরে ইতালিতে ৭০ হাজার ৯০০ জন, যুক্তরাজ্যে ৬৯ হাজার ৭৩২ জন, ফ্রান্সে ৬২ হাজার ৩৮৯ জন ও ইরানে ৫৪ হাজার ৩০৮ জন মারা গেছেন।