বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদ আনন্দ নেই।
মির্জা ফখরুল বলেন, ঈদে আমরা সব সময়ই আশা করি, দেশের সব মানুষ আনন্দের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে যেভাবে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে এবং ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের কারণে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে তাতে সাধারণ মানুষের পক্ষে এই ঈদুল ফিতর আনন্দে উদযাপন করা সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফাতেহা পাঠ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের সংকটের জন্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে দুষছে বিএনপি
ফখরুল বলেন, ‘আমরা প্রার্থনা করেছি যাতে স্বৈরাচারের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি।’
এসময় বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন করতে সরকার দমনমূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রায় ৩৫ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে এবং আরও ৬০০ জনকে গুম করা হয়েছে। মানুষ তাদের মৌলিক মানবাধিকার থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম ব্যাংককে গেলেও সরকার দীর্ঘদিন ধরে শুধু রাজনৈতিক কারণে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাজী সেলিমের বিদেশ ভ্রমণের ঘটনা প্রমাণ করে খালেদাকে রাজনৈতিক কারণে ‘মিথ্যা’ মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ফখরুলের সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নজরুল ইসলাম খানসহ দলের সিনিয়র নেতারা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া পাঠ করেন।