প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জাতিকে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। জাতির উদ্দেশে ঈদ শুভেচ্ছা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ঈদ উদযাপনে সকলকে সচেতন হতে হবে যেন করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি না পায়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঈদ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ, ঈদের আনন্দের বশে আত্মীয়দের বাড়িতে বেড়াতে চলে যাবেন। কারণ অনেকের মধ্যেই করোনার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বিভিন্ন আত্মীয়দের বাড়িতে বেড়াতে যেয়ে নিজেকে এবং আপনার কাছের আত্মীয়দের জীবনও ঝুঁকির মধ্যে ফেলবেন না।’
আরও পড়ুন: বায়তুল মোকাররমে ঈদ জামাত শুরু সকাল ৭টায়
প্রধানমন্ত্রীর ১৬ মিনিটের এই ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার এবং বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এক যোগে সম্প্রচার করে।
শেখ হাসিনা সকলকে আবারও মনে করিয়ে বলেন, মানুষের জীবন সবার আগে। আমরা যদি সবাই সুন্দরভাবে বাঁচতে পারি, তাহলে আগামী বছর সুন্দরভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারবো।
প্রধানমন্ত্রী জানান, গত বছরের মতো এবছরও খোলা ময়দানে ঈদের জামাত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তিনি সকলকে পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে ঈদের জামাত আদায় করার অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত হচ্ছে না
সকলকে নিজ অবস্থানে থেকে ঈদের আনন্দ উপভোগ করার পাশাপাশি সমাজের অন্যদের প্রতিও সহায়তা বাড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সমাজে অন্যান্য মানুষের প্রতি আপনার সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন। আপনার সামান্য সাহায্য পারে একটি পরিবারের মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে। মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের বড় কর্তব্য।’
আরও পড়ুন: চীনের উপহার ৫ লাখ টিকা বাংলাদেশে
করোনার টিকার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার করোনা সবচেয়ে কার্যকরী অক্সফোর্ডের টিকা দিয়েই গণ টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে। ভারতের বর্তমান করোনার পরিস্থিতির অবনতির ফলে ভ্যাক্সিন রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় বর্তমানে ভ্যাক্সিন সংকটা দেখা দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকার ইতিমধ্যেই অন্যান্য উৎস, চীন ও রাশিয়ার কাছ থেকে ভ্যাক্সিন সংগ্রহের ব্যাপারে কাজ করছে।