সোমবার জেলার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুর রহিম এ রায় প্রদান করেন। একই সাথে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে আর্থিক জরিমানার আদেশ দিয়েছেন বিচারক। রায় প্রদানের সময় ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১১ জন আসামি আদালতে উপস্থিত থাকলেও ২ আসামি পলাতক ছিলেন। এ ছাড়া এক আসামি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তার মামলা শিশু আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কটিয়াদীর কোদালাটিয়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে মো.সাইকুল ইসলাম ও ভবানিপুর গ্রামের মৃত শাহেদ আলীর ছেলে গোলাপ মিয়া। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মিজান, হামিদ, রহিম, ছাইদু, বাদল মিয়া, মোস্তফা, রায়হান, হাবিব, ফারুক, জলে বেগম, আনিছা বেগম, হেনা বেগম, সোহেল। তারা সবাই নিহত কৃষক তাজুল ইসলামের প্রতিবেশি ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার অভিযোগে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
মামলার নথিপত্র থেকে জানা গেছে, জমি-জমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী জেলার নোয়াগাঁও গ্রামের কৃষক তাজুল ইসলামের সাথে একই এলাকার কয়েকজনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে ২০১১ সালের ১ জানুয়ারি দুপুরে সিদলচর খালের উত্তর পাশে আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাজুলের ওপর হামলা চালায়। হামলায় তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
এ ঘটনায় নিহত তাজুলের মেয়ে মালা বেগম বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে কটিয়াদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: হত্যার দায়ে ফেনী ও পিরোজপুরে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কটিয়াদী থানার পরিদর্শক (ওসি) ফরিদ আহমেদ তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ১৯ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট যজ্ঞেশ্বর রায় চৌধুরী ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট অশোক সরকার।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে নবী হোসেন হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড