আজ পহেলা আগস্ট। ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অকালেই হারানোর মাস আগস্ট। তাই আগাস্ট বাঙালি-বাংলাদেশিদের জন্য শোকের।
স্বাধীনতার মাত্র কয়েক বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা জাতির পিতাকে তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যের সাথে হত্যা করে।
ওই বর্বরোচিত হামলার সময় বর্তামন প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা এবং ছোট মেয়ে শেখ রেহানা জার্মানিতে অবস্থান করায় বেঁচে যান।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা ও জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র প্রমাণ করে ১৫ আগস্ট ও জেল হত্যা: প্রধানমন্ত্রী
প্রতিবছর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলো ১৫ আগস্ট উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচি পালন করে থাকে। তবে করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছর কর্মসূচির ধরন আলাদা হবে।
এ বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন করবে জাতি। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে তার কীর্তি এবং এদেশের মানুষের জন্য তার আজীবন ত্যাগের কথা।
শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডই নয় এই আগস্টেই আওয়ামী লীগের সমাবেশে ছোঁড়া হয় গ্রেনেড হামলা। এছাড়াও ৬৩ জেলায় সিরিজ বোমা হামলার ঘটনাও ঘটে এই মাসেই।
আরও পড়ুন: ৫ আগস্টের পরও বিধিনিষেধ বহালের সুপারিশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
তৎকালীন বিএনপির শাসনামলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের এই গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং অন্তত ৫০০ নেতাকর্মী আহত হয়।
এছাড়াও ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট আধা ঘণ্টার ব্যবধানে সারা দেশের ৬৩ জেলার ৩০০টি স্থনে ৫০০টির ও বেশি সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।