মন্ত্রিসভায় মেহেরপুরে ‘মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়’ ও নওগাঁয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়’- নামের দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য আইনের খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। এসময় তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে একটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এতে যোগ দেন।
বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষ থেকে মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘প্রস্তাবিত দুটি বিশ্ববিদ্যালয় হবে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোটোটাইপ।’
তিনি বলেন, মন্ত্রিসভা ‘মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়, মেহেরপুর আইন, ২০২২’ এবং বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়, নওগাঁ আইন, ২০২২-এর খসড়া আইন দুটি যাচাই-বাছাইয়ের শর্তে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
আরও পড়ুন: খসড়া আইন অনুমোদন: ওষুধ সংক্রান্ত অনিয়মে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড
এছাড়া, দেশের আলোক প্রকৌশল খাতকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে হালকা প্রকৌশল শিল্প নীতি-২০২২-এর খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘নীতিমালার কারণে হালকা প্রকৌশল শিল্পের প্রসার ঘটবে, শিল্প খাতের ভূমিকা আরও বাড়বে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।’
বৈঠকে সিলেট নগরী ও এর আশপাশের এলাকায় পরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০২২’-এর খসড়া অনুমোদন করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রস্তাবিত আইনটির লক্ষ্য সিলেট নগরী ও এর আশপাশের এলাকায় অপরিকল্পিত নির্মাণ রোধ করে পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়ে তোলা।
গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে স্বাক্ষরিত অভিবাসন ও গতিশীলতা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) মন্ত্রিসভা পূর্ববর্তীভাবে অনুমোদন করেছে।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় প্রতি বছর প্রায় চার হাজার বাংলাদেশি গ্রিসে যাওয়ার সুযোগ পাবে এবং তারা প্রাথমিকভাবে গ্রিসের কৃষি খাতে কাজ করার জন্য পাঁচ বছরের অনুমতি পাবে।
এছাড়া ১৪-১৫ হাজার বাংলাদেশি যারা ইতোমধ্যে গ্রিসে অননুমোদিত হয়ে পড়েছেন তাদের এই চুক্তির আওতায় বৈধতা দেয়া যাবে বলেও জানান তিনি।