মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় ইমরান হোসেন (২৫) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাড়িয়েছে ৯ জনে।
বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহত ইমরান টাঙ্গাইল সদর উপজেলার আব্দুল মুজিব ভূঁইয়ার ছেলে এবং বেঙ্গল মিটের একজন কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
গত রবিবার মগবাজার ওয়্যারলেস গেটের কাছে এক বিস্ফোরণের ঘটনায় ৮ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়। আহতদের মধ্যে ইমরানের শরীরে ৯০ শতাংশ ক্ষত নিয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বুধবার আনুমানিক ভোর ৬টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে নিশ্চিত করেন ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির প্রধান ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া।
আরও পড়ুন: মগবাজার বিস্ফোরণ তদন্তে দ্রুত ইতি টানতে নারাজ আইজিপি
এদিকে মঙ্গলবার বিস্ফোরণের দুই দিন পর ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে ভবনটির নিরাপত্তারক্ষীর লাশ পাওয়া যায়। এদিন বেলা সাড়ে ৩টার দিকে হারুন-উর-রশিদ (৬৫) এর লাশ উদ্ধার করা হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক (অপারেশন) দেবাশীষ বর্ধন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগের দিন মগবাজারে অবহেলার কারণে বিস্ফোরণের অভিযোগ এনে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করেছে।
আরও পড়ুন: মগবাজারে বিস্ফোরণ: দুই দিন পর নিরাপত্তারক্ষীর লাশ উদ্ধার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ইউএনবিকে জানান, উপপরিদর্শক রেজাউল করিম রমনা থানায় এই মামলা করেন।
রবিবার সন্ধ্যায় মগবাজার ওয়্যারলেস গেটের কাছে আড়ংয়ের পাশে একটি ভবনেশক্তিশালী বিস্ফোরণে কমপক্ষে সাতজন নিহতে এবং ৬৬ জনেরও বেশি আহত হয়।
আরও পড়ুন: মগবাজারে বিস্ফোরণ: অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে পুলিশের মামলা
পরের দিন সোমবার পুলিশ প্রধানের নির্দেশে বিস্ফোরণ তদন্তের জন্য একটি সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে পুলিশ। এই কমিটির নেতৃত্ব দেবেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)-এর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার।
আরও পড়ুন: মগবাজারে বিস্ফোরণ: পুলিশের তদন্ত কমিটি
এছাড়া বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তের জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।